আফগানদের ৮৮ রানে হারাল বাংলাদেশ

আফগানদের ৮৮ রানে হারাল বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:
লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে বড় লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এর উপর ভর করে তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলামের বোলিং নৈপুণ্যে শুরু থেকেই আফগানিস্তারের চেপে টিম টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত দলটি অনায়াসের জিতে যায় ৮৮ রানে। এরফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই দলটি সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নিলো। 
 
লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। জবাবে ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানেই অলআউট হয় আফগানরা। 
 
মিরাজ তুলে নিলেন নবীকে
 
আফগানদের শেষ ভরসা হয়ে থাকা মোহাম্মদ নবীকে সাজঘরে ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮ বলে ৩২ রান করে লং অফে আফিফ হোসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। 
 
এবার নজিবুল্লাহকে ফেরালেন তাসকিন
 
দারুণ এক ডেলিভারিতে বিপদজ্জনক নজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। এ পেসারের লাফিয়ে ওঠা বল ঠিক বুঝতে পারেননি আফগান ব্যাটার। যে কারণে বল তার ব্যাটের উপরের অংশে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে মুশির গ্লাভসে। এরফলে নজিবুল্লাহর ৫৪ রানের প্রতিরোধও ভেঙে যায়। 
 
রহমতকে বোল্ড করে বিপজ্জনক জুটি ভাঙলেন তাসকিন
 
ব‍্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি অবশেষে ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। বোল্ড করে এ পেসার ফিরিয়ে দিলেন রহমত শাহকে। এরফলে  ভাঙে ৯০ বলে গড়া ৮৯ রানের জুটি। ফেরার আগে ৭১ বলে চারটি চারে ৫২ রান করেন রহমত। ২৫ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১২৫। ক্রিজে নাজিবউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ নবি।
 
আজমতকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেললেন সাকিব 
 
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই সাফল্য পেলেন সাকিব। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (৯) স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। 
 
মুশফিকের ক্যাচে হাশমতউল্লাহকে ফেরালেন শরিফুল
 
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেলেন শরিফুল ইসলাম। এ পেসারের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ,মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ (৫)।
 
শুরুতেই আফিফের থ্রোতে রান আউট রিয়াজ 
 
শরিফুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন রিয়াজ হাসান। কিন্তু আফিফ হোসেনের থ্রো তাঁকে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে সময়মতো পৌছাতে দেয়নি।  
 
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৬ 
 
আগের ম্যাচের ভুল শুধরে শুক্রবার শুরু থেকেই দারুণ খেললেন লিটন দাস। তাকে তৃতীয় উইকেটে যোগ্য সঙ্গ দিলেন মুশফিকুর রহিম। এক পর্যায়ে ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। মুশফিকও আশা জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। কিন্তু পারেননি। শেষ পর্যন্ত এ দুই ব্যাটার দু’শ ঊর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে ফিরেন। তবে তাদের ব্যাটে ভর করেই আফগানিস্তানের সামনে  ৩০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে টিম বাংলাদেশ। 
 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলেছে ৪ উইকেটে   ৩০৬ রান। লিটন ১২৬ বলে ৩৬ চারে ১৩৬ রান করেন। এদিকে মুশফিকের ব্যাটে আসে ৯৩ বলে ৯ চারে ৮৬ রান। আফগানিস্তানের হয়ে ফারিদ আহমেদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। 
দুই বলে পরপর ফিরলেন লিটন-মুশফিক

২০২ রানের জুটি ভেঙে লিটন দাসের বিদায়ের পরের বলেই ছক্কার চেষ্টায় ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিমও। ফরিদ আহমাদ মালিকের শর্ট বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন লিটন। ১২৬ বলে খেলা তার ১৩৬ রানের ইনিংস গড়া ১৬ চার ও দুই ছক্কায়। তার পরের বরেই  র‍্যাম্প শটে থার্ড ম‍্যান ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৯ চারে ৯৩ বলে ৮৬ রান করেন এই কিপার-ব‍্যাটসম‍্যান। 
 
১৮৮ বলে লিটন-মুশফিকের জুটিতে ২০০ 
দাপটের সঙ্গে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এরইমধ্যে তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুলে নিয়েছেন ১৮৮ বলে ২০০ রান।

লিটনের ৫ম সেঞ্চুরি

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরির দেখা লিটন দাস পেয়ে গেলেন শুক্রবার। এদিন রশিদ খানের আলগা বলে দারুণ এক চারে স্বাগত জানিয়ে এ ব্যাট তুলে নেন সেঞ্চুরি। এজন্য তিনি খেলেন ১০৭ বল। তার ইনিংসে রয়েছে ১৪টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার। 
লিটন-মুশফিকের জুটিতে সেঞ্চুরি

তামিম-সাকিব নিজেদের নামের প্রতি ঠিক সুবিচার করতে না পারলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ খেলছেন মুশফিক-লিটন। এরইমধ্যে তারা জুটিতে তুলে ফেলেছেন সেঞ্চুরি। এজন্য তারা খেলেছেন ১০৮ বল। এজন্য মুশির অবদান ৫১ ও লিটনের ৪৬। 

মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি

৬ ইনিংস পর আজ হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিক। রশিদ খানের বলে চার হাঁকিয়ে এ তারকা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি। এজন্য তিনি খেলেন ৫৬ বল। চার হাঁকান ৬টি। 
লিটন-মুশফিকের জুটিতে হাফসেঞ্চুরি

আগের ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও শুক্রবার দারুণ খেলছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। এরইমধ্যে এ দুই ব্যাটার তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। এজন্য তারা খেলেছেন ৬০। জুটিতে মুশির অবদান ২১, লিটনের ২৮। 

লিটনের হাফসেঞ্চুরি

ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেয়ে দারুণ খেলছেন। ২৫তম ওভারে নবীর তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। অর্ধশতক করতে এ ব্যাটার খেলেছেন ৬৫ বল। চার মেরেছেন ৮ টি।  মুশফিক অন্য প্রান্তে ১৯ রানে অপরাজিত।
দারুণ শুরুর পর রশিদের শিকার হলেন সাকিব

শুরু থেকেই বেশ খেলছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে জমে যাওয়াও দিয়েছিলেন আভাস। কিন্তু তার ইচ্ছে শেষ পর্যন্ত পূরণ করতে দিলেন না রশিদ খান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসেই এ লেগি এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিবকে। ফেরার আগে তিনি করেন ৩৬ বলে ২ চারে ২০ রান। 

ফারুকির বলে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরলেন তামিম 

দারুণ খেলছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু সেই ফজলহক ফারুকির করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন তিনি। বাঁহাতি পেসারের বল তিনি চেয়েছিলেন সোজা ব্যাটে খেলতে। কিন্তু বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে ব্যাটে। সঙ্গে সঙ্গে বোলার-ফিল্ডাররা করে আবেদন। আম্পায়ার দেন সাড়া। তবে তামিম নেন রিভিউ। যদিও তার সিদ্ধান্ত হয় ভুল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্ট্যাম্প উড়ে যাচ্ছে। তাই তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে জানিয়ে দেন। ফেরার আগে তামিম করেন ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান।
সিরিজ এবং ১০০ পয়েন্টের টার্গেটে টসে  জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ  

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করার কক্ষপথে বাংলাদেশ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে ইংল্যান্ডের (১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট, বাংলাদেশ ১৩ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট) পেছনে ছুটছে তামিম ইকবালের দল।

শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দারুন এক মাইলস্টোনের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলে ওয়ানডে সুপার লিগে ৪র্থ সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে উঠে যাবে বাংলাদেশ দল।

জিতলে প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ পয়েন্ট নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। এমন এক ম্যাচে বাংলাদেশ দল টস জিতে নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। সিরিজের প্রথম ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান তিনটি পরিবর্তন করেছে। ইয়ামিন আহমাদজাই,ইব্রাহিম জাদরান এবং গুলবাদিন নায়েবের জায়গায় এসেছেন রিয়াজ হাসান, ফরিদ আহমেদ এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই।

বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম , ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান : রহমানুল্লাহ গুরবাজ , রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদী (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ মালিক, ফজলহক ফারুকী, আজমতুল্লাহ ওমরজাই।