ইভ্যালির শামীমাকে গ্রেফতারের নির্দেশ

ইভ্যালির শামীমাকে গ্রেফতারের নির্দেশ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। খবর বাসস।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন জানান, ১৯ অক্টোবর মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদি হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এজাহারে বলা হয়, বাদি ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। 

পরবর্তীতে আলমগীর হোসেন ইভ্যালী এ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দু’টি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দু’টি একাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন। 

তিনি বিকাশ অথবা নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালী কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডারকৃত পণ্যগুলো বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালী কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেবার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি আজ পর্যন্ত ২৮ লাখ টাকার অর্ডারকৃত পণ্য বুঝে পাননি। 

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। 

তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। রাসেল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।