এলডিপি থেকে দুই শতাধিক নেতার পদত্যাগ

এলডিপি থেকে দুই শতাধিক নেতার পদত্যাগ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (ড. অলি আহমেদ) অংশ থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে পদত্যাগকারী এলডিপির সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং যুগ্ম-মহাসচিব তমিজউদ্দিনের যৌথ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের ভাষ্য, তারা বড় বড় রাজনৈতিক দলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন। শিগগিরই পছন্দসই দলে যোগদান করবেন। অন্যদিকে এলডিপির দাবি, যারা পদত্যাগ করেছেন তারা দুষ্কৃতকারী।

এলডিপির পদত্যাগকারী সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছিলো না। যে কারণে আমরা পদত্যাগ করেছি। আমাদের বড় বড় দলের পক্ষ থেকে অফার রয়েছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

ক্ষমতাসীন বলয় থেকে এখনো কোনো অফার পাননি বলেও জানান তিনি।
 
পদত্যাগকারীদের সম্পর্কে এলডিপির পক্ষ থেকে যে বিবৃতি পাঠানো হয়েছে সেই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, এতেই অলি আহমেদের মানসিকতা ফুটে ওঠে। রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। আমরা পদত্যাগকারীরা যদি দুষ্কৃতকারী হই, অলি সাহেবও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তা হলে তিনিও কি দুষ্কৃতকারী? এটা আমার প্রশ্ন।

তিনি বলেন, অলি আহমেদের বয়স হয়েছে। আমাদের জন্য তিনি দোয়া করবেন। তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি।

পদত্যাগকারীদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আত্মপ্রকাশের পর থেকে নানা সময়ে আমরা দলটির সঙ্গে সক্রিয় হই। দল প্রতিষ্ঠার কেটে গেছে দীর্ঘ ১৬ বছর। এই দীর্ঘসময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেমন উত্থান-পতন এসেছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত ‘অবস্থান পরিবর্তন’ করে গেছেন দলের প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ বীর বিক্রম। রাজনৈতিকভাবে নিয়মিত বিরতিতে রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টানোর কারণে এরইমধ্যে দলের প্রতিষ্ঠালগ্নের জ্যেষ্ঠনেতারা তার নেতৃত্ব ত্যাগ করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে এই ধারা থেকে এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ সরে আসেননি, বরং দিনে-দিনে একটি সুপরিচিত রাজনৈতিক দলকে তিনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

তারা জানান, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অলি আহমেদ চূড়ান্ত অর্থে ‘কর্তৃত্ববাদী ও আত্মঅহঙ্কারে’ নিমগ্ন একজন মানুষ। অথচ, জাতীয়তাবাদী শক্তির আধার হিসেবে শত-শত তরুণ-যুবক ও রাজনীতিক তার নেতৃত্বের ছায়াতলে এসেছিল। কিন্তু দিন যত বয়েছে, তার পরিবর্তিত রূপ দেখে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে।