বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাদিয়ার স্প্রে বিশ্বকে আশার আলো দেখাচ্ছে

বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাদিয়ার স্প্রে বিশ্বকে আশার আলো দেখাচ্ছে

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নতুন এক প্রকার জীবাণুনাশক উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সাদিয়া খানম। নিজের উদ্ভাবিত জীবাণুনাশকের নাম রেখেছেন ‘ভলটিক’। দীর্ঘ আট মাস গবেষণা করে এই স্প্রে উদ্ভাবন করেছেন বলে জানিয়েছেন সাদিয়া খানম। 

তাঁর দাবি, নতুন এই জীবাণুনাশক কোথাও একবার ছিটানো (স্প্রে) হলে ১৪ দিন পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে।

বিজ্ঞানী সাদিয়া খানম ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন,  একবার কোনো কিছুর ওপর এই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হলে সেই বস্তুটির ওপর একধরনের বন্ড বা প্রাচীর তৈরি হয়। এই বন্ড খুবই শক্তিশালী। টানা দুই সপ্তাহের জন্য ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, করোনাভাইরাস, ইবোলা ভাইরাস, এইচআইভিসহ যে কোনো জীবাণু থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই ভলটিক।

সাদিয়া জানান, তিনি তাঁদের রেস্টুরেন্টে স্প্রেটির গবেষণা চালিয়েছেন এবং বিভিন্ন বস্তুর ওপর ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছেন।

বিবিসি বাংলার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, করোনায় বিপর্যস্ত ব্রিটেনে সাদিয়া খানমের এই উদ্ভাবনকে বড় ধরনের আবিষ্কার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাসহ (এনএইচএস) জীবাণুনাশক সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তর ও কর্তৃপক্ষও ভলটিক স্প্রের ওপর ট্রায়াল সম্পন্ন করে এটিকে অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে এটি ব্যবহারের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। বলা হচ্ছে, কোভিড থেকে সুরক্ষার ব্যাপারে এই উদ্ভাবন অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। অদূর ভবিষ্যতে হাসপাতাল, কেয়ার হোম, হোটেল–রেস্তোরাঁ, উড়োজাহাজ ও পরিবহন খাতে এই স্প্রে ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রবল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়্যারাল গ্লোবকে সাদিয়া খানম  বলেন, আমার বয়স যখন ১৪, তখন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি আলঝেইমার্স (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ওষুধ আবিষ্কার করব। কারণ এখন পর্যন্ত এর কোনো চিকিৎসা বের হয়নি। আমি আমার দাদাসহ সবাইকে সাহায্য করতে চাই।

সাদিয়া বলেন, ভলটিকের এই কাজ শেষ করার পর আমি আলঝেইমার্স রোগের গবেষণায় ফিরে যেতে চাই।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভলটিক স্প্রের উদ্ভাবন আলঝেইমার্স রোগের ওষুধ আবিষ্কারের ব্যাপারে তাঁকে অনেক আশাবাদী করে তুলেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর স্বপ্ন একদিন পূরণ হবে।