মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ

মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে আগামী ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। ঐদিন মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আদালতের দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর আদালতে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহা. নুরুল হুদা। এ মামলায় আফরোজা আব্বাস জামিনে রয়েছেন।

এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন মির্জা আব্বাস।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিনের সহায়তায় অর্জন করেছেন। কেননা আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ঐ সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ মিলেছে। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ঐ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদক আফরোজা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ ও বাবা-মা এবং বোনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। তবে ঐ টাকাসহ মোট সম্পদের হিসাবের স্বপক্ষে কোনো রেকর্ড দেখাতে পারেননি।

অন্যদিকে আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী। কিন্তু তার স্বামী মির্জা আব্বাস বিভিন্ন খাতের টাকা স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন। আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।

আফরোজা আব্বাস ও তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করেন দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ অভিযোগ আনা হয়েছিল।