রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যাংক আমানত নিয়ে বিএনপির গুজব

রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যাংক আমানত নিয়ে বিএনপির গুজব

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলেও বর্তমানে বিভাগীয় সভা-সমাবেশে প্রচুর অর্থ খরচ করছে বিএনপি। বিশেষ করে লোকসমাগমের জন্য তাদের বরাদ্দও অনেক। দলীয় ফান্ড এবং বিদেশি প্রভুদের অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ‘ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে’ বলে গুজব ছড়িয়ে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে সমাবেশে লোক সমাগমের পেছনে ব্যয় করছে দলটি।

বিএনপি প্রথমে গুজব ছড়ায়- দেশের ব্যাংকগুলোতে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না। তাই আমানত তুলে ফেলার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালায় দলের সাইবার টিমের সদস্যরা।

সেই গুজবে কান দিয়ে দেশের অনেক মানুষই তাদের আমানত তুলে নেয় ব্যাংক থেকে। এই ফাঁদে পা দেয় বিএনপির অনেক ব্যবসায়ী নেতা ও সমর্থকরা। ক্ষমতায় গেলে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দলের সভা সমাবেশের পেছনে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করেন তারা। যেই টোপে পা দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী, সমর্থক ইনভেস্টও করে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে লোকসমাগমের জন্য।

শুধু তাই নয়, বিদেশে পলাতক বিএনপির পেইড এজেন্টরাও ব্যাংকিং পথে বা বৈধভাবে দেশে টাকা না পাঠানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দেয়।

কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া ঘোষণার পর মাথায় বাজ পরে বিএনপির অনেক ব্যবসায়ী নেতা ও সমর্থকদের। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারল্য সংকটে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। স্বাধীনতার ৫১ বছরে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে বিএনপির এমন অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পোস্তগোলা বিএনপির ব্যবসায়ী নেতা আমানুল্লাহ বলেন, ‘ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে- এমন খবর পাওয়ার পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা সঞ্চিত টাকা-পয়সা তুলে দলের সভা-সমাবেশে বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়। ক্ষমতায় গেলে পদ-পদবিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রোলোভনে পড়ে আমি সব টাকা তুলে দলের ফান্ডে জমা দেই- ভবিষ্যতে আরো বেশি টাকা আয় করার আশায়। আজকে জানতে পারলাম সবকিছুই ছিল অভিনব প্রতারণার কৌশল। এখন আমি নিঃস্ব।

বিএনপির এই নেতার মতো অনেকেই বিএনপির প্রলোভনে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন খুব অল্প সময়ে। করোনা মাহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিদ্যমান ডলার সংকটসহ অর্থনৈতিক চাপ সব দেশেই পড়েছে। বিষয়টিকে পুঁজি করে দেশবিরোধী অপশক্তি তথা বিএনপি-জামায়াত মাঝখান দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিল।