সিলেটের কবিকূলকে বাদ দিয়ে সাহিত্যের সামগ্রিক ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

সিলেটের কবিকূলকে বাদ দিয়ে সাহিত্যের সামগ্রিক ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশে সিলেটের কবি-সাহিত্যিকরা চর্যাপদের যুগ থেকেই অবদান রেখে যাচ্ছেন। সিলেটে আজ মঙ্গলবার জেলা স্টেডিয়ামের সম্মুখ ভাগে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। 

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সাহিত্য মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত ভৌমিক, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। 

ভাষা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কৃতজ্ঞতা সাথে স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন বলেই আমরা নিজের ভাষায় কথা বলছি, সাহিত্য ও জ্ঞান চর্চা করার সুযোগ পেয়েছি। 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধি করতে সিলেটের লেখকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিলেটের প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগের কবিকূলকে বাদ দিয়ে সাহিত্যের সামগ্রিক ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। বর্তমানেও সিলেটের কবি সাহিত্যিকদের অবদান অনস্বীকার্য। আশা করা যায় নতুনরাও প্রবীণদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সাহিত্যে অবদান রাখবেন।

দুদিনব্যাপী এ মেলায় প্রথম দিনে আরো ছিল প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা, লেখক-কর্মশালা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনে থাকবে কবি কণ্ঠে কবিতা ও ছড়া পাঠ, সাহিত্যিকদের উপন্যাস বা ছোট গল্প থেকে পাঠ এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।-বিজ্ঞপ্তি