সিলেটে বন্যা: তাহিরপুর- সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সিলেটে বন্যা: তাহিরপুর- সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

তাহিরপুর সংবাদদাতা :
এক সপ্তাহ পূর্বেও তাহিরপুর উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে সড়কপথে পৌছতে মাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগতো। যেখানে প্রতি যাত্রীর খরচ হতো ১শত টাকা, সেখানে বন্যা হওয়ার পর থেকে জেলা শহরে পৌছতেই চলে যায় প্রায় সারাদিন সেই যাত্রীদের ব্যায় হচ্ছে তিনগুণ টাকা।

বন্যায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে ভাঙন ও খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। পানি নেমে যাওয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে এসব ভাঙাচোরা।  

তাহিরপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ রাস্তারই এখন করুণ অবস্থা। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে।

ফলে বেহাল হয়ে পড়েছে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সিলেট - সুনামগঞ্জ, ও সুনামগঞ্জ - তাহিরপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে।  বন্যার শুরু থেকে গত সপ্তাহ দিন ধরে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাহিরপুর উপজেলার। 

এর  মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চালবন, শক্তিয়ার খলা, বালিজুরি, আনোয়ারপুর সড়কের।  

সরেজমিনে দেখা যায়, গত ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট প্লাবণে সুনামগঞ্জ জেলার সাথে ও তাহিরপুর উপজেলার অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে গেছে। পানি নেমে যাওয়ায় এখন বেরিয়ে আসছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। এখনো শহরের সাথে  যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত উপজেলার ০৭টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে সড়কের বেহাল দশা হওয়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা একাধিক রোগী জানান, তাদের শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ - সিলেট  যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার হকার শ্যামল বর্মন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাহিরপুর উপজেলায় কোনো পত্রিকা পৌছায় নি।

তাহিরপুর সদর বাজারের ব্যাবসায়ী লিটন রায় জানান, গত সপ্তাহ থেকে তাহিরপুর উপজেলার সদর বাজারে কোনো ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাহির থেকে আসতে পারছে না। ফলে ব্যাবসায়ীদের মালামাল সংকট দেখা দিয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইকবাল কবির বলেন, পাহাড়ি ঢলের তান্ডবে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  আমরা ভেঙে যাওয়া রাস্তা দ্রুত মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রায়হান কবির বলেন, বন্যায় ভেঙে যাওয়া তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে খুব শীগ্রই মেরামত কাজ শুরু করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।