৩৭ বছরে সর্বনিম্ন ব্রিটিশ পাউন্ডের দর

৩৭ বছরে সর্বনিম্ন ব্রিটিশ পাউন্ডের দর

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন চলছে। এরমধ্যে ৩৭ বছরে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এ হার ১ শতাংশের বেশি। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর নেমে গেছে গত ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এবং ইউরোর বিপরীতে হয়েছে ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ওইদিন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর এক শতাংশেরও বেশি কমে ১ দশমিক ১৩৫১ ডলার দাঁড়ায়, যা ১৯৮৫ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। তবে সবশেষ ১ দশমিক ১৪০৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছিল পাউন্ড। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বেশিরভাগ প্রধান মুদ্রারই দরপতন হয়েছে, বিশেষ করে পাউন্ডের।

শুক্রবার ইউরোর বিপরীতেও দর হারিয়েছে ব্রিটিশ মুদ্রা। এদিন পাউন্ডের বিপরীতে ইউরোর দর বেড়ে ৮৭ দশমিক ৭১ পেনি পর্যন্ত উঠেছিল, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। তবে সবশেষ পাউন্ডের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ৪৫ পেনিতে লেনদেন হচ্ছিল ইউরো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, যুক্তরাজ্যে মাসিক হিসাবে গত আগস্ট মাসে খুচরা পণ্য বিক্রির পরিমাণ ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন। তবে ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য এটিই একমাত্র খারাপ খবর নয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী বছর অন্য যেকোনো বড় অর্থনীতির তুলনায় যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ধীর এবং ক্রমাগত আরও মূল্যস্ফীতির মুখে পড়বে তারা। স্যাক্সো ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশলের প্রধান জন হার্ডি বলেন, যা চলছে তার সব কিছুর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ওপর। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের বিশাল বাহ্যিক ঘাটতি ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর নীতি সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো। -রয়টার্স