মহানবী (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির  প্রতিবাদে উত্তাল বিশ্বনাথ

মহানবী (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির  প্রতিবাদে উত্তাল বিশ্বনাথ

বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের কটূক্তির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্বনাথ। গতকাল শনিবার রাতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। এসময় স্লোগানে বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিশ্বনাথে কর্মরত শিক্ষক একে আজাদকে গ্রেফতারের জন্য আল্টিমেটাম দেন তাওহিদী জনতা। 

জানা গেছে ‘ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত  মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের ‘রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’র সহকারী শিক্ষক একে আজাদ গত শুক্রবার রাতে ‘দর্শনের স্কুল’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে একটি স্ট্যাটাস দেন।  শিক্ষক একে আজাদের লেখার স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল। এতে নবী প্রেমিক বিপুল সংখ্যক ধর্মগ্রাণ মানুষের স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বিশ্বনাথ উপজেলা সদর।

ছাত্র-জনতার বিশাল মিছিল বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসিয়া সেতু উপর প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা কটূক্তিকারী শিক্ষককে আজ রোববারের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এর পাশাপাশি ‘রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে তাকে বরখাস্তের জোরদাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুফি শামসুল ইসলাম, কুরুয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আক্তার আলী, বিশ্বনাথ দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাসান-বিন-ফাহিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, রেসকিউ লাইফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুর নূর তুষার প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বনাথ থানাকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমরা খোঁজ নিয়ে ও তদন্ত করে দেখেছি,অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টির জন্য ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।