অচ্যুত চরণ চৌধুরী ছিলেন সিলেটের ইতিহাস সংগ্রহের উজ্জ্বল নক্ষত্র ------------- সুকেশ  রঞ্জন তালুকদার  

অচ্যুত চরণ চৌধুরী ছিলেন সিলেটের ইতিহাস সংগ্রহের উজ্জ্বল নক্ষত্র ------------- সুকেশ  রঞ্জন তালুকদার  

সিলেট মোবাইল পাঠাগার’র ৭৯৩তম সাহিত্য আসর

সিলেট সিটি মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল সুকেশ রঞ্জন তালুকদার বলেন, 'অচ্যুত চরণ চৌধুরী ছিলেন সিলেটের ইতিহাস সংগ্রহের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষ যুগযুগ ধরে স্বরণ রাখবে। আমাদের সাহিত্যচর্চা যেন হয় সুনাগরিক হওয়া। যাতে দেশ যাতি উপক্রিত হয়।'

তিনি গত১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে সংগঠনের নিজস্ব কার্যলয়ে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ৭৯৩ তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর গবেষক, ইতিহাসবিদ শিক্ষক অচ্যুত চরণ চৌধুরী স্বরণে নিবেদিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সিলেট মোবাইল পাঠাগারের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সংগঠক দেওয়ান এ. এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন পাঠাগারের সচিব ছড়াকার আব্দুস সাদেক লিপন।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক আবদুল কাদির জীবনের উপস্থাপনায় সাহিত্য আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক।
সাহিত্য সভায় লেখাপাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি সয়ফুল আলম পারুল, ছড়াকার কবির আশরাফ, কবি কামাল আহমদ, সার্জন টিভির পরিচালক জুবের আহমদ সার্জন, কবি মকসুদ আহমদ লাল, কবি কাজী আদম, গীতিকার সাজিদুর রহমান, কবি গাজী আব্দুল কুদ্দুস শমশাদ, রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানবীর আদনান প্রান্ত, কলেজ ছাত্র তুষার স্বদেশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ আলকোরান থেকে তেলাওয়াত করেন গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের চেয়ারম্যান দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, 'সিলেটের ইতিহাস কেউ লিখতে গেলে অচ্যুত চরণ চৌধুরীকে স্বরণ করতেই হবে। তিনি ছিলেন একজন সুপণ্ডিত। তৎকালীন সময় পন্ডিত সমাজ তাকে পাঁচটি (তত্বনিধি, গৌরভূষণ, ভক্তি সাগর, বিদ্যাবিনোদ ও পুরাতত্ববিষারদ) উপাধিতে ভূষিত করেন। তাঁর রচিত ৮টি গ্রন্থের মধ্যে 'সিলেটের ইতিবৃত্ত' ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সাহিত্য সাধনার জন্য আসাম সরকার তাঁকে 'আজীবন সাহিত্য বৃত্তি' প্রদান করেছিল। তিনি ছিলেন তৎকালীন করিমগঞ্জ মহকোমার জাফরগর পরগনার জমিদার পরিবারের সন্তান। বিজ্ঞপ্তি