আপনার স্বাস্থ্য: যে ৮ খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল

আপনার স্বাস্থ্য: যে ৮ খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি। এটি বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এই পদার্থটি আমাদের দেহের কোষের দেয়ালে থাকে। চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর যকৃতে কোলেস্টেরল তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে দেহের সমস্ত রক্তনালিতে ছড়িয়ে পড়ে এটি।

কোলেস্টেরল কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, যেমন- ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল। এর মধ্যে একটা হলো উপকারী। আর তিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনির দেয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখ, হার্ট-অ্যাটাক ইত্যাদি। তবে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার যোগ করে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। তাহলে জেনে নেয়া যায় তেমনই ৮টি খাবার-

ওটমিল বা ভুট্টার তৈরি খাবার : সকালের নাশতায় ভুট্টা বা যবের তৈরি ওটমিল বা কর্নফ্লেক্স হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এতে করে দিনের শুরুতেই ১ থেকে ২ গ্রাম আঁশ খাওয়া হয়ে যাবে, যা অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেবে।

বাদাম : প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম আপনার রক্তে ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়া বাদাম খেলে পাবেন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শক্তি জোগাবে সারাদিন।

সামুদ্রিক মাছ : সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন অন্তত তৈলাক্ত মাছ খান। সামুদ্রিক মাছ হলে আরও ভালো। এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।

সবুজ সবজি : সবুজ পাতা ও ডাটাসহ সবজি, যেমন বিভিন্ন ধরনের শাক এবং খোসাসহ ফলমূলে রয়েছে অন্ত্রের চর্বি শোষণ কমানোর উপাদান। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন সকল ধরনের সবুজ ও রঙিন সবজি।ফলের মধ্যে থাকতে পারে পেয়ারা, আপেল, স্ট্রবেরি, পেঁপে ও আঙ্গুর জাতীয় ফল।

রসুন : রসুন খেলে রক্তনালীর গায়ে কোলেস্টেরল জমা হওয়া রোধ করে। ফলে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

চা : এতে থাকা ‘ফ্লাভানয়েডস’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা  ‘এলডিএল’ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।রক্তনালীতে ‘প্লাক’ জমে তা বন্ধ করার পেছনে অনেকটাই দায়ী এই ‘এলডিএল’।

ডার্ক চকলেট : ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর ‘ফ্লাভানয়েডস’। তাই চায়ের মতোই এটি লড়াই করে ‘এলডিএল’য়ের বিরুদ্ধে।

সয়া : উদ্ভিজ্জ আমিষের এক চমৎকার উৎস সয়া। ভোজ্য চর্বি ও মাংসের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে সয়া অনন্য। তাছাড়া প্রকৃত মাংসে থাকা ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ নেই। কোলেস্টেরল কমাতে সক্ষম এ খাবারটি।