আলী বাহার চা বাগানে মিললো হাত কাটা লাশ

আলী বাহার চা বাগানে মিললো হাত কাটা লাশ

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।ওষুধ কিনতে গিয়ে আর ফিরেননি। একদিন পর চা বাগানের ভিতরে মিললো তার হাত কাটা লাশ। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানাধীন পাঠানটুলা গুয়াবাড়ি এলাকার আলী বাহার চা বাগানের কাটাটিলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের নাম সিতেশ চন্দ গোপ (৪০)। তিনি হবিগঞ্জ সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ গোপের ছেলে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।স্থানীয়দের ধারনা, চা বাগানের ভিতর পড়ে থাকা লাশের একটি হাত সম্ভবত শেয়াল খেয়ে ফেলেছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি ছুরি ও রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন। তিনি জানান, নিহতের বড় ভাই গোপেশ চন্দ গোপ লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

গোপেশের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে সিতেশ চন্দ তার স্ত্রীকে নিয়ে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। সেখানে তিনি স্ত্রীকে ভর্তি করান। রাতে তার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। 

রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে সিতেশ নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে জালালবাদ থানায় একটি জিডি করা হয়। 

এদিকে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা পাঠানটুলা গুয়াবাড়ি এলাকার আলী বাহার চা বাগানের কাটাটিলায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

ওসি মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।