ইউক্রেনে ফের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনে ফের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা রাশিয়ার

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
রুশ সেনারা আরেকটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটি। শুক্রবার (১১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক পরিদর্শক সংস্থা জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। রুশ সেনাদের কামানের গোলাবর্ষণের কারণে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটির বিদুৎ চলে যায় এবং এতে করে সেটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

বিবিসি বলছে, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি এবং রাশিয়াও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে এই ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত ৩ মার্চ দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নেয় রুশ সেনারা। দখলের আগে রুশ সেনাদের হামলায় পরমাণু কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘পারমাণবিক সন্ত্রাস’ অবলম্বন করার এবং রাশিয়া ইউক্রেনে চেরনোবিল বিপর্যয়ের ‘পুনরাবৃত্তি’ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন।

সেসময় জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশ পারমাণবিক শক্তি ইউনিটগুলোতে গুলি বা বোমা হামলা চালায়নি। আমাদের ইতিহাসে এই প্রথম। মানবজাতির ইতিহাসেও এমন হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এখন পারমাণবিক সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে’।

ওদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সুবিধার সঙ্গে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালেল ২৬ এপ্রিল ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিনটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসেবে পরিচিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।