ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ বিয়ানীবাজারের ভোটারদের

ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ বিয়ানীবাজারের ভোটারদের
ফাইল ছবি

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনের অনেক কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। তবে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলছেন, এমন ঘটনা স্বাভাবিক। ভোটারের পরিচয় শনাক্ত হলেই তারা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন শুরু হয়। এই ভোটগ্রহণ চলবে এক টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা।

সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে একজন করে মোট ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি কেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ ও ৯ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সাধারণ ভোটারদের মধ্যেই ইভিএমে ভোট প্রদান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। এসব ভোটারদের অভিযোগ, ইভিএমে তাদের ফিঙ্গার ম্যাচিং হচ্ছে না। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তাদেরকে বেলা ২টার পর যেতে বলছেন। তবে অনেক ভোটারই ভোট দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

পৌরসভায়র ৬নং ওয়ার্ডের ভুবন মিয়া নামে এক ভোটার বলেন, ‘ডিজিটাল মেশিনে প্রথমবার ভোট দিলাম। খুব ভালো লাগছে। এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদান অনেক সহজ। তবে আমার গ্রামের অনেক ভোটারের ফিঙ্গার নিচ্ছে না মেশিন। কর্মকর্তারা তাদেরকে ২টার পর আসতে বলে দিয়েছেন।’

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ভোটকেন্দ্রে ২৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অজই উদ্দিন (নারিকেল গাছ প্রতীক)। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, খুব সুন্দর পরিবেশে তিনি ভোট দিয়েছেন। তবে অনেক ভোটার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার কারণে ভোট দিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। ৯ ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে রয়েছে।’