এ বছর বিশ্বম্ভরপুরে ৩০টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারর্দীয় দূর্গাপূজা

এ বছর বিশ্বম্ভরপুরে ৩০টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে  শারর্দীয় দূর্গাপূজা

বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি: প্রতিমা নির্মাণ সহ পূজার সকল প্রকার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বছর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আসন্ন শারর্দীয় দূর্গাপূজা ৩০টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হব।  উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২০টি, পলাশ ইউনিয়নে ০৭টি, বাদাঘাট(দঃ) ০২টি ও ধনপুর ইউনিয়নে ০১টি সহ সার্বজনীন পূজা মোট ২৯টি ও পারিবারিক পূজা একটি সহ সর্বমোট ৩০টি মন্দিরে শারর্দীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতি মধ্যেই উপজেলা প্রশাসন, থানার পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আইনশৃংঙ্খলা বিষয় সহ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠানের স্বার্থে পূজা মন্দিরের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে অনেক রাস্তা ঘাট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বন্যায় ও দ্রুব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতিতে এ উপজেলার মানুষের মাঝে আর্থিক সংকট দেখা দিচ্ছে। এতে পূজা পূজা অনুষ্ঠানেও কিছুটা বাটা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও শারর্দীয় দূর্গো উৎসবের কমতি নেই। দূর্গা মাতার শুভ আগমনের বার্তায় সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এক উৎস্য উদ্দীপনার মধ্যে পূজার সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যেই সরকারি ভাবে যে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় তা মন্দিরে মন্দিরে বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থের কথা বিবেচনা করে এ বছর উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিটি মন্দিরে ৫ হাজার টাকা করে বিশেষ অনুদান করা হয়। এছাড়াও মন্দির সংলগ্ন ছোটখাটো রাস্তা মেরামত সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিয়ত পূজা মন্ডব গুলোর সার্বিক খোজখবর রাখছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ বিট অফিসারের মাধ্যমে মন্দির গুলোর সুরক্ষায় নজরদারী রাখছেন এবং প্রতিটি মন্দিরে পরিদর্শন খাতা রাখা হয় ও সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়। 

উপজেলার প্রায় প্রতিটি মন্দিরেই প্রতিমা নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন শুধু রং তুলি ও অলংকার লাগানোর কাজ চলছে। উপজেলা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণনগর পূজা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী রিপন পাল বলেন প্রতিমার কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন সর্বশেষ রং তুলির কাজ ও অলংকার লাগানো কাজ করছি। তিনি এ বছর ০৩টি প্রতিমা নির্মান করছেন। প্রতিমা নির্মান ছাড়াও মন্দির আঙ্গিনার প্যান্ডল নির্মানের কাজ চলছে। ভারত সীমান্তবর্তী পাহাড়ের পাদদেশে কাইতকোনা মন্দিরের সভাপতি রাকেশ হাজং বলেন আমাদের পূজায় সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। আমাদের প্যান্ডলের কাজ চলছে। বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন এ উপজেলায় সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভাবে আসন্ন শারর্দীয় দূর্গা পূজা উদযাপনে আইনশৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রন সহ সার্বিক পরিস্থিতি সুন্দর ও ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন বিশ্বম্ভরপুরে এ বছর মোট ৩০টি মন্দিরে শারর্দীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে শারর্দীয় দূর্গা উৎসব উদযাপনের লক্ষে ইতি মধ্যেই সকল পূজা মন্দিরের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দের চাউলের ডিও প্রতিটি মন্দিরে প্রদান করেছি। তাছাড়াও বন্যার কথা বিবেচনা করে উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিটি মন্দিরের জন্য ৫ হাজার টাকা করে বিতরন করেছি। মন্দিরের আশপাশ যোগাযোগের স্বার্থে ছোটখাটো রাস্তা গুলো সংস্কার করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে প্রতিটি এলাকায় পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে এবং পূজা চলকালীন দিন গুলোর জন্য উপজেলা সদরে একটি কন্টোল রুম খোলা রাখা হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি এবং সকলের সহায়তায় শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা করেন।