এটিও কী আপনাদের খেলার অংশ: ওবায়দুল কাদেরকে রিজভী

এটিও কী আপনাদের খেলার অংশ: ওবায়দুল কাদেরকে রিজভী

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ওবায়দুল কাদের ফিউচার টেনসে বলেন— খেলা হবে। কিন্তু খেলা তো চলছে মানুষের আহার নিয়ে, খাদ্য নিয়ে, ভোগান্তি নিয়ে। এসব দেশের জনগণ দেখছে। এটিও আপনাদের খেলার অংশ। এর হিসাব কিন্তু আপনাকে একদিন দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই ‘অবৈধ সরকারের’ একজন মন্ত্রী যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উনি প্রতিদিন বলেন— খেলা হবে। এটা তো ফিউচার টেনসে বলেছেন— প্রেজেন্ট টেনসে বলবেন না খেলা চলছে। আপনি কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করেছেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করেছেন। এটিও কি খেলার অংশ না? সারা দেশে  সমাবেশ যাতে না হয়, তার জন্য অনেককেই গ্রেফতার করেছে— এটি কী খেলার অংশ না? বিএনপির সমাবেশের দুদিন আগে বাস মালিক ধর্মঘট ডাকে এটিও তো আপনার খেলার অংশ। কারণ আপনার নির্দেশ ছাড়া এই বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকার কথা না। বিএনপির সমাবেশ শেষে তাদের ধর্মঘটও শেষ হয়, এটা তো ওবায়দুল কাদের ও শেখ হাসিনার খেলার অংশ।

তিনি বলেন, তারা খেলা দেখাচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে। বিদ্যুতের নাকি বন্যা বয়ে গেছে। হাইওয়ে, বড় বড় ফ্লাইওভার উন্নয়নে গোটা দেশ ছড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের আয় বেড়েছে ২১৩৪ ডলার। আবার প্রধানমন্ত্রী একবার বলছে— দুর্ভিক্ষ হবে। আবার বলছে হবে না। এই যে অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী। মানুষের প্রতি এত আয় বেড়ে থাকে তা হলে দুর্ভিক্ষ হবে কেন? কিন্তু দুর্ভিক্ষ চলছে। সরকারি চাল ৩০ টাকা কেজি যে ট্রাকগুলোতে দেবে, সেই ট্রাকগুলোর পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছে চালের জন্য। এটিই তো দুর্ভিক্ষের আলামত। 

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে রিজার্ভে নাকি এখনো ৩৫ মিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংক কে বললেন হিসাব দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বললেন ২৪ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। আওয়ামী লীগ বলে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২৪ মিলিয়ন ডলার। হঠাৎ করে কমে গেল কেন? 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ফুটবল খেলার মাঠে কিন্তু আত্মঘাতী গোলও আছে। অর্থাৎ নিজেদের প্লেয়ার নিজেদের গোল পোস্টেই গোল করে দেয়। ওবায়দুল কাদেররা কিন্তু সেই ধরনের আত্মঘাতী খেলোয়াড়। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ যখন বিপদে পড়বেন, তখন তারা বলবেন— ঋণখেলাপির টাকা, উন্নয়নের বুলি বলে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ জড়িত। যেমন ওয়ান ইলেভেনে ওবায়দুল কাদের, জলিল, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম বলেছেন— শেখ হাসিনা কার কার কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন। তাই ওবায়দুল কাদের যখন খেলার কথা বলবে, তখন শেখ হাসিনা আপনিও সাবধান হয়ে যান। কারণ সে বিপদে পড়লে আপনার সব কথা কিন্তু সে বলে দেবে।