‘এত ক্ষুধা একজন রাজনৈতিক নেতার'

‘এত ক্ষুধা একজন রাজনৈতিক নেতার'

রয়েল ভিউ ডেস্ক: পুলিশের মারধরের শিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আপ্যায়নের পর ছবি প্রকাশে দোষের কিছু দেখছেন না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্টো গয়েশ্বরকে প্রশ্ন রেখে বলেন, গয়েশ্বর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে গিয়ে ‘কেন খেলেন’। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার তিনি বলেন, ‘উনি কেন খাইলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এত ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কিসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসাথে।’ 
কিছুটা হাস্যরস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তো হয়েছে কি? যা সত্য সেটা আসছে, অসুবিধা কি? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নাই। কেউ সাজিয়ে দিয়েছে কিনা সেটা ভিন্ন খবর। উনি (গয়েশ্বর) তো রুই মাছ দিয়ে ভালো করেই খাইছেন।” 

গোয়েন্দা প্রধানের দপ্তরে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কিনা, এ প্রশ্নে কাদের বলেন, আন্দোলনে হয়ত উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানরে (আমান উল্লাহ আমান) সৌজন্য, একজন রাজনৈতিক কর্মী তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারে। সে একটু অসুস্থ হইছেন ফল পাঠানো নিয়ম, রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না। 

সাংবাদিক আবারও জানতে চান, একজনকে খাওয়ানোর পর তার ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পরে কিনা। জবাবে কাদের বলেন, এটা কি রাজনৈতিক লোকেরা করছে? আরে গোয়েন্দাদের কাজই তো এসব। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। মতবিনিময় সভায় নিজের দুই পাশে বসা দুই নেতাকে দেখিয়ে বলেন, বিপ্লব বড়ুয়া আর আরাফাত গিয়ে তো করে নাই।

'এটা গোয়েন্দাদের বিষয়... এটা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা করেননি। বিপ্লব বা আরাফাত এটা করেননি।'