এশিয়ার সবচেয়ে বড় সূর্যপুরি আমগাছে মুকুলের সমারোহ
রয়েল ভিউ ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁওয়ে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সুর্যপুরি জাতের আমের গাছে মুকুলের সমারোহ। ৩ বিঘা জমির উপর বিস্তৃত এই আমগাছটি দেখার জন্য প্রতিদিন-ই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।
বিস্তৃত ডালপালা, সাথে মুকুলের সমারোহ। নজরকারা এই দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তাই ক্যামেরা বন্দি হতে ব্যস্ত সকলেই আর গাছটি সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর।
ঠাকুরগাঁওয়ের থেকে ৩৫ কি.মি. দুরে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার সীমান্তবর্তী হরিনমারি গ্রামে অবস্থিত ২শত বছরের পুরোনো সুর্যপুরি জাতের আম গাছ।
প্রায় ৩বিঘা জমি জুড়ে ব্যপ্তি হওয়ায় দর্শনাথীদের ভীড় লেগেই থাকে। গাছের মালিক জন প্রতি ২০ টাকা টিকিট নির্ধারণ করে দিয়েছে গাছে পরিদর্শনে।
সুর্যপুরি জাতের আম বাজারে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এই গাছের আম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। এই একটি গাছে থেকে প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ মন আম বিক্রি করা হয়। বয়সের ভারে যুবুথুবু হলেও ফলনে কখনো নিরাশ করেননা গাছ মালিককে। গাছের প্রতিটি ডাল মাটিতে নুয়ে বিস্তার লাভ করছে।
দর্শনার্থীদের বিনোদনের চাহিদা মেটালেও এই গাছ দেখতে আসতে অনেক ঝুকি পোহাতে হয় তাদের। ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী সাইফুল্লাহ আল হেলাল বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জেনেছি যে এ জেলায় সবচেয়ে বড় আমগাছ সূর্যপুরী। আজ নিজ চোখে দেখা হলো তার সঙ্গে। বিশ্বাস করতে ভালো লাগছে যে এটি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় আমগাছ। তবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
রাজশাহী থেকে আসা দর্শনার্থী রিপন আহমেদ বলেন, আমি সাত ঘণ্টা মোটরসাইকেল জার্নি করে এখানে এসেছি। একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম, সবচেয়ে বড় আমগাছ বালিয়াডাঙ্গীতে অবস্থিত। আজ গাছটি দেখে আমি বিমোহিত হয়েছি। জীবনে এত বড় আমগাছ আমি দেখিনি। এখন মুকুল থাকায় এর সৌন্দর্য আরও বেড়েছে। তবে আমি বলতে চাই, আমরা যারা অনেক দূর থেকে আসি, তাদের জন্য অবশ্যই বিশ্রাম ও খাবারের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। কিন্তু এখানে সেই ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি রেস্ট হাউস, ভালো মানের রেস্টুরেন্ট এবং একটি মানসম্মত ওয়াশরুম স্থাপন করা জরুরি। এতে দর্শনার্থীরা উপকৃত হবে।
এদিকে দর্শনার্থী বাড়াতে ও পর্যটন কেন্দ্র করতে সরকারি হস্তক্ষেপ চান গাছ মালিক নুর ইসলাম।
পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি গবেষণারো বিষয় হতে পারে ব্যতিক্রমী এই গাছ। তাই যথাযথ সংরক্ষণের দাবি করেছে এলাকাবাসী।