ওসমানীতে প্রথমবারের মতো ল্যাপারোস্কোপি অপারেশন

ওসমানীতে প্রথমবারের মতো ল্যাপারোস্কোপি অপারেশন

ডাঃ এস. এম আসাদুজ্জামান জুয়েল : দেশের টারশিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর মধ্যে সিলেট বিভাগের একমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মফস্বল বা পেরিফেরি (চবৎরঢ়যবৎু) হাসপাতালগুলো দেশের অন্যান্য বিভাগে থাকলেও চিকিৎসার নানাসূচকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বারবার দেশসেরা হচ্ছে।

২০১৪ সাল থেকে হাসপাতালটি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে  চলেছে। তার প্রধান কারণ, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা প্রদানের ধরন, আগ্রহ, বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া তথা প্রশাসনের সহায়তায় সরকার প্রদত্ত যন্ত্রপাতি, ঔষধ ইত্যাদি সঠিক প্রয়োগ ও জবাবদিহিতা বা অপপড়ঁহঃরনরষরঃু। তেমনি এক সফল প্রযুক্তি এই সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার শুরু হলো গত ২১ জানুয়ারি রোববার ইউরোলজি বিভাগে। ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগে ওইদিন ‘ল্যাপারোস্কোপিকালি’ এই প্রথম এক রোগীর ইউরেটার বা কিডনি নালীর ক্যান্সার জাতীয় টিউমার দক্ষতার সাথে অপারেশন করা হলো। এই অপারেশনই ইউরোলজির বড় ও জটিল অপারেশন।

সিলেট বিভাগ তো বটেই, মফস্বলের অন্য কোনো সরকারি  বড় হাসপাতালে এখন পর্যন্ত জটিল এ অপারেশনটি করার নজির নেই। অতি সাশ্রয়ী খরচে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এখন থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগ থেকে নিয়মিতভাবে  (জড়ঁঃরহষু) যে কেউ এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে ইউরোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলীম উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান।

নেফ্রো ইউরেটারেকটমি উইথ কাপ অস্ক ব্লাজার টিস্যু অপারেশনটিই গত ২১ তারিখ সম্পন্ন হয়। জানাগেছে, সফল এ অপারেশনের নেতৃত্ব দেন ইউরোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: আলীম উদ্দিন এবং সহযোগিতায় ছিলেন  ৫ সদস্যের চিকিৎসক দল।

 উল্লেখ্য, কিড্নি বা ইউরেটার (মূত্রনালী)-র ক্যান্সার জাতীয় টিউমার আগে ওপেন অপারেশন ‘বা ‘কেটে‘ করা হতো। ফলে সময়, জটিলতা, রোগীর হাসপাতালে অবস্থান ইত্যাদির পরিমাণ বেড়ে যেতো, কিন্তু স্বল্প সময়ে অত্যাধুনিক ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে সহজেই এ ধরনের অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে।