কদমতলী এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া ৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন চালক

কদমতলী এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া ৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন চালক

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
সিলেট নগরের কদমতলী এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া তিন লাখ টাকা প্রকৃত মালিক সুধামন মান্নার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মঈন উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে শহরতলির সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে পলিথিনে মোড়ানো একটি ব্যাগে টাকাগুলো পান তিনি।

সুধামন মান্না জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে সিলেট শহরতলির খাদিম চা–বাগান এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই দিন দুপুরে তিনি জৈন্তাপুর সোনালী ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ তুলেছিলেন।

বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টির পানি থেকে টাকাগুলো রক্ষা করতে পলিথিনে মুড়িয়ে নেন। পরে টাকাগুলো মোটরসাইকেলের কাগজপত্রসহ আরেকটি পলিথিনের ব্যাগে ভর্তি করে ঝুলিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় ফিরে সুধামন মান্না খেয়াল করেন, মোটরসাইকেলের সঙ্গে ঝুলিয়ে আনা টাকার ব্যাগটি নেই। সড়কে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যাগটি না পেয়ে রাতেই তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মঈন উদ্দিন বলেন, তাঁর বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিদাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই পথ দিয়ে দুজন যাত্রী নিয়ে সিলেট নগরের কদমতলী এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। বিকেল পাঁচটার দিকে শহরতলির সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পীরের বাজার এলাকা দিয়ে সিলেট নগরের দিকে যাওয়ার পথে পলিথিনে মোড়ানো একটি ব্যাগ পান।

সুধামন মান্না বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের মুঠোফোনে একটি কল পান তিনি। অপর প্রান্ত থেকে অটোরিকশাচালক মঈন উদ্দিন তাঁর নাম–পরিচয় জানতে চেয়ে টাকা পাওয়ার বিষয়টি জানান। বিকেল ৪টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলি আছমা ম্যানশনে সিলেট-ঢাকা আন্তজেলা বাস পরিবহন শ্রমিক উপকমিটির কার্যালয়ে গিয়ে তিনি টাকাসহ সবকিছু ফিরে পান।

সুধামন মান্না বলেন, ‘মঈন উদ্দিনকে পুরস্কৃত করার মতো সম্বল আমার নেই। এরপরও তাঁর পরিবারকে উপহার হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। মঈন উদ্দিন নিতে চাননি। অনেকটা জোর করে তাঁকে টাকাটা দিয়েছি।’ টাকাগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আনন্দিত মঈন উদ্দিন।