কমলগঞ্জে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ  জনজীবন : ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি

কমলগঞ্জে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ  জনজীবন : ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি
ফাইল ছবি

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কমলগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা ভ্যাপসা গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। তপ্ত গরমের কারণে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু ও বয়স্ক মানুষ। দাবদাহের কারণে কৃষকসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।

আষাঢ় মাসে চলছে দাবদাহ। ভরা বর্ষা মৌসুমের মধ্যভাগে এসেও চৈত্র-বৈশাখের মতো ভ্যাপসা গরমে নাকাল কমলগঞ্জের মানুষ। 
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে, দিন ও রাতে-সমানতালে গরমের দাপট। তবে মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় পর হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দাবদাহের কারণে অধিকাংশ ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এতে ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হঠাৎ করে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় লোকজন পড়েছেন মহাসংকটে। এদিকে, এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া লোকজন পড়েছেন বেকায়দায়। তারা কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না ঠিকমতো।

আলাপকালে ভানুগাছ বাজারের রিক্সাচালক মোমিন মিয়া বলেন, গরমে বাড়িতেই থাকা যাচ্ছেন। তাই কাজেও যেতে পারছি না। কিছু সময় কাজ করি, আবার কিছু সময় বসে থাকি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।  

কৃষক আজাদুর রহমান বলেন, জমিতে আগাছা জমেছে। গরমের কারণে জমির আগাছা পরিষ্কারের কাজ করতে পারছি না। জানি না সময়মতো আগাছা পরিষ্কার করতে না পারার কারণে ফসল বিনষ্ট হয় কিনা ? 
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারবেশন অফিসার আনিসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বুধবার ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরো বলেন, এই তাপমাত্রা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম, মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, বেশ কিছু শিশু ও বয়স্ক মানুষ জ্বর, সর্দ্দি, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। গরম কমে গেলে তা এমনিতেই হ্রাস পাবে।