করোনাকালে বেড়েছে মদ্যপান, বাড়তে পারে মৃত্যুও!

করোনাকালে বেড়েছে মদ্যপান, বাড়তে পারে মৃত্যুও!

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
গবেষণা বলছে, চলমান করোনা অতিমারির লকডাউন, সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং বাড়িতে বসে কাজের ফলে অ্যালকোহল গ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। অতিরিক্ত মদ্যপান বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ২০ বছরের মধ্যে প্রায় ৮০০০ হাজার মৃত্যু ঘটবে লিভার সংক্রান্ত রোগে। এছাড়াও, গবেষণায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জীবন উপভোগের তালিকায় একেবারে সামনের সারিতেই রয়েছে মদ্যপান। এই নেশায় আসক্তরা মনে করেন, মদের গেলাসে চুমুক দিতে দিতেই দূর হয় সমস্ত দুঃখ, মাথায় আসে নতুন চিন্তা, দূর হয় একাকিত্ব, হয় ভালো ঘুম। 

তবে বিশেষজ্ঞরা মদ্যপানে আসক্তদের কোনও কথাতেই আমল দিতে চান না। কারণ গবেষণা বলছে, মদ্যপান করলে শরীর খারাপ হয়। নানা ধরনের সমস্যা চেপে বসে। হার্ট, লিভার, পাকস্থলী সহ দেহের নানা অঙ্গের উপর দেখা দেয় সমস্যা। তাই মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়ার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এত সাবধানবাণী সত্ত্বেও মানুষ শোনার তোয়াক্কা করেন না। তাই করোনাকালে মদ্যপানের হার বেড়েছে অনেকটাই। গবেষণা বলছে, অতিমারীর মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে মদ্যপান। প্রতিবছরের তুলনায় গত বছরে মদ্যপান জনিত সমস্য়ায় আক্রান্ত ৮ হাজার মানুষ বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, মদ্যপানের কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে ১৮ হাজার ৭০০ লিভার ফেলিওর এবং ১ হাজার ক্যান্সারের ঘটনা বাড়বে।

গবেষণাটি করেছে হার্ভার্ডের ম্যাসুচেটস জেনারেল হাসপাতাল। তাঁদের অনুমান, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর মদ্যপানের কারণে ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হবে সে দেশে। এমনকী ২৮০০ মানুষের হবে লিভার ক্যান্সার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর মদ্যপানের কারণে ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যান। এক্ষেত্রে মদ্যপান কম বয়সে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে। তাই মদ্যপান ছাড়ার পক্ষেই সওয়াল করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কী ভাবে মদ্যপান মুক্তি পাবেন?

মদ্যপান থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছাটাই হল প্রধান হাতিয়ার। তাই সবার প্রথম নিজেকে বোঝাতে হবে। এছাড়াও মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলি-
১. নিজেকে বোঝান। বারবার মদ্যপানের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে পড়ুন। নিজের মধ্যে সেই কথাগুলি ঢুকিয়ে নিন।
২. নিজের বাড়ি থেকে দূর করে দিন অ্যালকোহল।
৩. মদ্যপানের আড্ডা এড়িয়ে চলুন। এমন বন্ধুদের সঙ্গও কয়েকদিন তোলা থাক।
৪. মদ্যপানের কথা মনে হলে নিজের পরিবার নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবুন।
৬. মদ্যপান ছেড়ে থাকতে পারলে নিজেকে পুরস্কার দিন। এই পুরস্কার আপনাকে মদ্যপান ছাড়তে সাহায্য করবে।
৫. মদ্যপান ছাড়তে খুব সমস্যা হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে এই ঘাতক নেশা ছাড়ানোর পথ দেখাবেন।