খেলা নিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু্ই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

খেলা নিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু্ই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট :সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু্ই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে একাডেমিক ভবন বি’এর গ্রাউন্ডে নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

এতে রসায়ন বিভাগের ২ শিক্ষার্থী ও নৃবিজ্ঞানের ১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন, রসায়নের ২০২১-২২ সেশনের অনুরাগ শাহা অর্পণ ও আরাফাত । তারা দুজনেেই সিলেট নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অপরদিকে, নৃবিজ্ঞানের ২০২০-২১ সেশনের শাফায়াত নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের হোসাঈন আইয়ুব বলেন, বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে খেলা শেষে আমাদের বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের কয়েকজন জুনিয়র বি বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ডে ব্যাডমিন্টন কোর্ট প্রস্তুতের কাজ করছিল। কাজ শেষ করে তারা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিল। এর মধ্যে নৃবিজ্ঞানের চার থেকে পাঁচজন এসে খেলা শুরু করে দেয়। এরপর রসায়ন বিভাগের জুনিয়ররা আসলে ‘প্রস্তুত করা কোর্টে খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি’ হয়। এর একপর্যায়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শফিক, শাফায়েত, আরিয়ান, সানি রসায়নের আরাফাত ও অর্পণকে মারধর করে। এতে একটি র‌্যাকেট ও চেয়ার ভেঙেছে; আরাফাত ও অর্পণের হাত, পা ও ‍মুখে আঘাত করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আরিয়ান বলেন, রসায়নে ২০২১-২২ সেশনের দুজন শাফায়াতকে প্রথমে মারধর করেছে। আমি রসায়নের কাউকে মারধর করিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গণ্ডগোল দেখে পরে চলে এসেছি। এখন শাফায়েতকে উন্নত চিকিৎসা সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা বাসায় চলে যাবে। ঘটনার সমাধানে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসেছেন। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বিধি অনু্যায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও  ছাত্র উপদেষ্টাকে কল দিলে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে দুজন আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা বি বিল্ডিংয়ে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।