গরমে স্বস্তি পেতে বাড়ছে হাতপাখার কদর

গরমে স্বস্তি পেতে বাড়ছে হাতপাখার কদর

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
এককালে বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল তালপাখা, হাতপাখা ও শীতলপাটি। তবে যন্ত্রনির্ভর এই যুগে এগুলোর চাহিদা কিছুটা কমেছে। তারপরও গরম এলে শহুরে অনেকেই প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে ব্যবহার করেন তালপাখা আর শীতলপাটি।

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে হাতের তৈরি এই পাখাটি প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছিল। কিন্তু সিলেটে কয়েক দিন থেকে বইতে থাকা তীব্র তাপদাহে যখন  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সাথে লোডশেডিংয়ের বাড়-বাড়ন্তে থেমে যাচ্ছে ফ্যানের পাখা। তখন গরম থেকে স্বস্তি পেতে আবার হাতে উঠে এসেছে সেই হাতপাখা। হাতপাখায় শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন অনেকে।   এ কারণে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে হাতপাখার কদর। সিলেট নগরী সহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে হাতপাখা বিক্রি। বেচাকেনাও চলছে সমানতালে। গরমে একটু প্রশান্তির খোঁজে হাতপাখায় প্রাণ জুড়াচ্ছেন নগরবাসী। শুধু সিলেট নগরী নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও সমানতালে কদর বেড়েছে হাতপাখার।

শনিবার সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বাঁশের তৈরি হাতপাখা বেচাকেনার ধুম দেখা যায়। গরম এলেই এই ব্যবসায় নেমে পড়েন অনেকে। কয়েক দিন থেকে গরমের তাপদাহে সিলেটে হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। বাসা-বাড়ির লোকজন সহ রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশার চালক ও পথচারী লোকজনরাই বেশি কিনছেন নানা রঙের বাহারী এই পাখা। শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও চাহিদা বেড়েছে হাতপাখার। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এমন চিত্র বিরাজ করছে বলে জানা যায়। হাত পাখা বিক্রেতা সিরাজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গরম বেশি পড়ায় ক্রেতা বেশি। গরম এলেই এর চাহিদা বাড়ে। তবে এবছর একটু বেশি চাহিদা বেড়েছে।

পাখা কিনতে আসা ক্রেতা হালিমা বেগম বলেন, কয়েক দিন ধরে খুব গরম। এর মধ্যে আবার বিদ্যুতের লোডশেডিং। তাই একটি হাতপাখা কিনে নিলাম, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও স্বস্তি পাই।