ছাতকে মহিলা কাউন্সিলরের উপর  হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি

ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাতক পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নুরেছা বেগমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী ও পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ। শনিবার বিকেলে ছাতক সিমেন্ট কারখানার ৪নং বাজার এলাকায় এ প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রম হলেও এখনো পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীরা আত্মগোপনে থেকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। একদিকে আহত পৌর মহিলা কাউন্সিলর আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন, অন্যদিকে তার পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাতক সিমেন্ট কারখানার সিবিএ সভাপতি আব্দুল কদ্দুছ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শহরের নোয়ারাই-ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত জহির আলীর স্ত্রী নুরেছা বেগম বিপুল ভোটে পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হবার পর থেকেই এলাকার সন্ত্রাসী চক্রের নেতা মুছেন আলী ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছিল।

তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ করেন নুরেছা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী কয়েছ মিয়া, মুছন আলী, জরিফুল বেগম, সাগর মিয়া, আব্দুল জব্বার, এবাদুল হক, হোসেন আলী সহ সন্ত্রাসীরা মহিলা কাউন্সিলর নুরেছা বেগমকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ৪ জুন রাত প্রায় ৯টায় সন্ত্রাসীরা নুরেছা বেগমের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে নাক-মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত-বিক্ষত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা তার বোন সামিয়ারা বেগম ও সন্তানদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে নির্বিঘেœ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ৯ জুন নুরেছা বেগম বাদী হয়ে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং ১০) দায়ের করেন। কিন্তু, ঘটনার ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জড়িত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পৌর কাউন্সিলর আফরোজ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর হাজী নাজিমুল হক, রশীদ আহমদ খছরু, মহিলা কাইন্সিলর রতœা মালাকার, সিবিএ সভাপতি আব্দুল কদ্দুছ, কার্যকরী সভাপতি নুরুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলর সুদীপ দে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুপিয়া বেগম, স্থানীয় মদরিছ আলী, আবু সামা, হাজী আব্দুল গফুর, হাজী আব্দুর রজাক ভানু, শুকুর মিয়া চৌধুরী, আমির আলী, ইদন আলী, শাহজাহান, আরিফ আহমদ, জুনায়েদ আহমদ প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যতায় এলাকাবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারী উল্লেখ করেন।