জগন্নাথপুরের সরকারি জমির সীমানা প্রাচীর  ভাঙতে শুরু করেছে দখলদাররা 

জগন্নাথপুরের সরকারি জমির সীমানা প্রাচীর  ভাঙতে শুরু করেছে দখলদাররা 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মামলা দায়েরের ১৭ দিন পর দখলকৃত জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করেছে দখলদাররা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। 


সরকারি গোপাট ও রাস্তা রকম ভূমি উচ্ছেদ না করে জবর দখলকারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ছয় সরকারি কর্মকর্তা ও  সাত দখলদারের  বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়। গত ২০ মার্চ পৌর শহরের হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহিতুর রহমান তালুকদার নামে একজন আইনজীবী সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। 


মামলায় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম, সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, সাবেক সার্ভেয়ার আব্দুল মোনায়েম খান, বর্তমান সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা একে এম নাজমুল হুদা খান ও হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আলকাব আলী, সিজিল মিয়া, রুহিন মিয়া, সুজাত মিয়া, আবু শায়েক, আলী আকবর, জামাল মিয়া উক্ত ভূমি জবর দখলকারী হিসেবে আসামি করা হয়। 


মামলার বাদী আইনজীবি মুহিতুর রহমান তালুকদার জানান, পৌর এলাকার হবিবপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ১২৫ নং দাগের ২২ শতক গোপাট ও রাস্তা রকম ভূমি ২০১৪ সালে বেদখল হয়। এরপর থেকে বার বার উচ্ছেদের জন্য আবেদন করেও কোন কাজ না হওয়ায় ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা যারা দখলমুক্ত না করে দখলদারদের সহযোগিতা করেছেন এবং সাতজন দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। 
তিনি আরো বলেন, সরকারি জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা দরকার। আমি খবর পেয়েছি মামলা দায়ের হওয়ায় দখলদাররা সরকারি ভূমিতে তাদের ঘর উচ্ছেদ না করে শুধু সীমানা প্রাচীর ভেঙে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে। দখলের অভিযোগ থাকা হবিবপুর গ্রামের রুহিন মিয়া জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে সার্ভেয়ার এসে মাপ দিয়ে সরকারি জায়গা চিহ্নিত করে দিয়ে গেছেন। তাদের মাপ অনুযায়ী আমরা উচ্ছেদ শুরু করেছি। সার্ভেয়ারের মাপ অনুযায়ী কোন ঘর সরকারি জায়গায় পড়েনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম জানান, আমার দায়িত্বকালীন সময়ে এ জায়গা দখল হয়নি। আমরা উচ্ছেদের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দখলদাররা খবর পেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে উচ্ছেদ শুরু করতে লিখিত আবেদন করায় আমরা সার্ভেয়ার দিয়ে সরকারি জমি চিহ্নিত করে দিয়েছি। 
তিনি আরো বলেন, সরকারি জমি পুরোপুরি দখলমুক্ত করা হবে।