জৈন্তাপুরে দু’টি গ্রামীণ রাস্তার কাজে অনিয়ম ॥ ডিসি বরাবর অভিযোগ

জৈন্তাপুরে দু’টি গ্রামীণ রাস্তার কাজে অনিয়ম ॥ ডিসি বরাবর অভিযোগ

রয়েল ভিউ ডেস্ক : জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চলতি অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি’র দু’টি কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন সাবেক ছাত্রনেতা বদরুল ইসলাম। এ নিয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করলেও টাকা ছাড় দিয়েছে পিআইও অফিস। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি গত মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগপত্রে আরো কয়েকটি কাজের অনিয়মের কথা তিনি উল্লেখ করেন। 
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, সিসি ঢালাই কাজের জন্য ভিত্রিখেল গ্রামীণ রাস্তা হতে হুসেন আহমদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা এক লক্ষ টাকা এবং লামনীগ্রাম ভিত্রিখেল দৌলা মিয়ার কবরস্থানের রাস্তার অসমাপ্ত অংশ এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত আলী এ দু’টি কাজ বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু কাজে অনিয়ম দেখা দিলে বদরুল ইসলাম গত ১০ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। পরদিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সরেজমিন পরিদর্শন করলে কাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরও শাস্তির পরিবর্তে পিআইও অফিস অর্থ ছাড় করায় দুর্নীতির বিষয়টি প্রতিয়মান হয়েছে। কাজ দু’টি মন্ত্রীর নিজের ইউনিয়নে হওয়াতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শওকত আলী সিলেটের ডাক’কে জানান, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণ কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার পর মন্ত্রী, ইউএনও এবং পিআইও সরেজমিনে রাস্তার কাজ দেখেন। এরপর তারা সন্তুষ্ট হয়ে কাজের টাকা প্রদান করেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগকারি এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে মন্ত্রী ও আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করছেন। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে রাস্তার কাজ দেখতে যাই এবং কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ কাজ হওয়ার পর বরাদ্দকৃত টাকার ছাড় দেই। এখানে কোন ধরণের অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয়নি।