জামালগঞ্জে মসজিদ ও মাদ্রাসার ভূমি রক্ষায় চার গ্রামের সংবাদ সম্মেলন

জামালগঞ্জে মসজিদ ও মাদ্রাসার ভূমি রক্ষায় চার গ্রামের সংবাদ সম্মেলন

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালগঞ্জে কান্দাগাঁও, নজাতপুর, ফলকপুর ও শেরমস্তপুর এ চার গ্রামবাসীর উদ্যোগে মসজিদ ও মাদ্রাসার ভূমি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাচনা বাজার ইউনিয়নের শেরমস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, শেরমস্তপুর মৌজার ৬৮২ নম্বর দাগের ২৬৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১২ একর ভূমির প্রকৃত মালিক শেরমস্তপুর গ্রামের অনেকেই। তবে মোট জায়গার একটা বড় অংশ চারগ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান করে দেন স্ব-স্ব মালিক। যার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির কাছে সংরক্ষিত আছে। এ জায়গা প্রায় ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে চারগ্রামের গোচারণে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি লামারভূঁই নামক এ কান্দা ছোট ছনুয়া হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, চারগ্রামের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ কান্দাটি একই ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতলিব ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, চার ছেলে আলী নূর আলম উজ্জ্বল, সজল মিয়া, আশিক নূর, সামছুন্নুর অবৈধ দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। এমনকি চারগ্রামের মানুষ কান্দাটি রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তারা আমাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। পাশাপাশি গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কান্দায় নেমে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চারগ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তারা। পরে নিরীহ গ্রামবাসী নিরুপায় হয়ে ২২ ডিসেম্বর তাদেরকে বিবাদী করে জামালগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। 
লিখিত বক্তব্যে চারগ্রামের মসজিদ মাদ্রাসার জন্য নির্ধারিত গোচারণ ভূমিটি অবৈধমুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আলী, শেরমস্তপুর মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোতাওয়াল্লী সাদেক আলী তালুকদার, শেরমস্তপুর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলী, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা সুলতান আহমদ, ইউপি সদস্য মো. ছমির উদ্দীন, মমিনুর রহমান প্রমুখ।