টিপু ও প্রীতি হত্যা মামলা: ইশতিয়াক আহমেদ জিতু ও মারুফ খান রিমান্ডে

টিপু ও প্রীতি হত্যা মামলা: ইশতিয়াক আহমেদ জিতু ও মারুফ খান রিমান্ডে

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আহমেদ জিতু ও মারুফ খানকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

ইশতিয়াক আহমেদ জিতুকে ডিবি পুলিশ বিকেলের দিকে আদালতে হাজির করে। অন্যদিকে এই মামলার আসামি মারুফ খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। 

জিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জিতুকে তিন দিন এবং মারুফকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। 

জিতুর রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই আসামিকে গত বুধবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই আসামি টিপু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ড তার জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য তাঁকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। 

অন্য আসামি মারুফ খানের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মারুফ খান ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই মামলার অন্যতম আসামি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সুমন সিকদার ওরফে শুটার মুসার মুখোমুখি করা হবে। তাহলে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে। 

মারুফকে ঘটনার কয়েক দিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৩ এপ্রিল তাঁকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

তিন আসামি কারাগারে: তিনজন হচ্ছেন নাসির উদ্দিন ওরফে মানিক, ওমর ফারুক ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ। গত ১৩ জুন এই তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করার পর আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।