ডাচদের হারিয়ে ১৫ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ

ডাচদের হারিয়ে ১৫ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
গরমের দেশ থেকে কনকনে শীতের মধ্যে পড়া। তাসমান সাগরের হিম মেশানো বাতাস। তার মধ্যে থেমে থেমে গায়ে কাঁটার মতো ফোটা বৃষ্টি। বিরুদ্ধ কন্ডিশন বলতে যা বোঝায় তার সব ঘরে টিক দিয়েছে হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল। ওই কন্ডিশন জয় করে ডাচদের বিপক্ষে ৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। 

টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে ১৫ বছর পরে টাইগাররা পেয়েছে জয়ের স্বাদ। সেই ২০০৭ সালে; টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপুটে এক জয় পেয়েছিল মাশরাফি-আফতাবদের বাংলাদেশ। পরের ছয় আসরে কেবল বাছাইপর্বের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কিছু ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। এবার মিলল জুজু। তাও সহজ ম্যাচ কঠিন করে!  

সোমবার হোবার্টের ম্যাচে টস পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। শুরুটা ভালো হলেও ব্যাটাররা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। কিছু দায় উইকেটের ছিল। তবে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে আটকে যাওয়ার মতো কঠিন উইকেটও ছিল না। ওপেনার সৌম্য সরকার এবং নাজমুল শান্ত ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রানের ভিত্তি দিয়েছিলেন। ওই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সৌম্য-শান্ত সমালোচনার জবাবটা পুরোপুরি দিতে পারেননি। 

সৌম্য সরকার ১৪ বলে দুই চারের শটে ১৪ রান করে ফিরে যান। পরের ওভারে শান্ত সুইচ খেলে ২০ বলে চারটি চারে ২৪ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ দেন। লিটন দাস দলকে হতাশ করেন। পুল খেলতে গিয়ে তিনি ৯ রানে আউট হন। ওই ধাক্কা সামাল দিতে হতো সাকিব ও আফিফের। কিন্তু লম্বা করে শট খেলতে গিয়ে সাকিব ৭ রানে ক্যাচ দিয়ে দলকে মহাবিপদে ফেলে যান।

ব্যর্থ হন ছয়ে ব্যাট করতে নামা ইয়াসির রাব্বি (৩)। নুরুল হাসান ১৩ রান করলেও তার খেলতে হয় ১৮ বল। তবে আফিফ হোসেন এক প্রান্ত দিয়ে টুকটাক রান তুলতে থাকেন। তিনি খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস। শেষে মোসাদ্দেক ১২ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২০ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নামা ডাচদের ইনিংসের ডানা শুরুতেই ভেঙে দেন তাসকিন। প্রথম দুই বলেই তুলে নেন উইকেট। এরপর চতুর্থ ওভারে দারুণ দুই থ্রো থেকে জোড়া রান আউট তুলে নেয় টাইগাররা। ১৫ রানে চার উইকেট হারায় দলটি। ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি। তবে এক প্রান্ত দিয়ে কলিন আকারম্যান লড়ে গেছেন। তিনি নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। ডাচদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে স্কট এডওয়ার্ডের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন। তিনি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। উইকেট দুটি পেলেও পেসার হাসান মাহমুদ আগুন ঝরানো বোলিং করেছেন। তিনি ৪ ওভার থেকে মাত্র ১৫ রান দেন। এছাড়া সাকিব ও সৌম্য একটি করে উইকেট নেন। নিশ্চিত পরাজয়ের পথে পা দিয়েও ডাচরা শেষ ৪ ওভার থেকে ৪৩ রান তুলে নেয়।