‘ঢাকা প্রকাশ’র সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন হেলেন আহমদ

‘ঢাকা প্রকাশ’র সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন হেলেন আহমদ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
গত ১০ জানুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা প্রকাশ’-এ প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট নগরীর ১নং কমলাবাগান মজুমদারীর বাসিন্দা হেলেন আহমদ।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঢাকা প্রকাশে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, সেলিনা-মোমেন ফাউন্ডেশনের নামে সিলেটে গ্রাস হচ্ছে টিলা ভূমি; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মিথ্যা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মোমেন ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন সমতল বাড়ি রকম ভূমিতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উত্তোলিত স্তুপাকৃতি মাটির ছবি সংযুক্ত করে বিকৃতভাবে লিখা হয়েছে ‘সিলেট এয়ারপোর্ট রোডে বড়শলা মৌজায় আহমদ হাউজিং এলাকায় টিলা কেটে দেদারছে তৈরী হচ্ছে স্থাপনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার সহধর্মীনির নামে প্রতিষ্ঠিত সেলিনা-মোমেন ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই কাজ করেছেন হেলেন আহমদ যিনি সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন, আর তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন সিলেট জেলা জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা।’ যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানায়োট।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে হেলেন আহমদ বলেন, ‘তার শত্রু পক্ষের কারো দেওয়া অসত্য তথ্যের আলোকে প্রতিবেদক লিখেছেন, ‘টিলা শ্রেনীর ভূমি কেটে প্রায় ৫ ফুট গভীর থেকে মাটি কেটে সমতলে তৈরী হচ্ছে স্থাপনার কাজ যা সেলিনা মোমেন ফাউন্ডেশনের কাজ। আশেপাশেও চলছে বাসা বাড়ীর নির্মাণ কাজ।’

বাস্তবে মোমেন ফাউন্ডেশন যেখানে ভবন নির্মান করছে সেখানে সমতল বাড়ী রকম ভূমি। উক্ত ভবনের পার্কিংয়ের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড নির্মানের জন্য মাটি কেটে আন্ডারগ্রাউন্ডের সাইটে রাখা হয়েছে। উক্ত মাটির ছবি তুলে  সেই মাটিকে টিলাকাটার মাটি হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করে ধুম্রজাল তৈরী করা হয়েছে। উক্ত ভবনের আশে পাশে কোন ভবন নির্মান হচ্ছে না। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংবাদ তৈরি করা হয়েছে।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদের সহিত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার একাত্ম হয়ে টিলা ভূমি শ্রেনী পরিবর্তনের মাধ্যমে বাড়ী ও ভিটা শ্রেনীর ৮৬ শতক ভূমির ২০ শতক ভূমি দানপত্র দলিলে রেকর্ড করা হয়েছে সেলিনা মোমেন ফাউন্ডেশনের নামে। একই সাথে আরো ৩ একর ৬০ শতক ভূয়া নামজারির মাধ্যমে রেকর্ড করে নেন হেলেন আাহমদ যার ভূয়া নামজারি খতিয়ান ৭০৯।’ সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৩০৫০ দাগের ৬০ একর ৫ শতক টিলা ভূমি হেলেন আহমদ এর বেআইনি কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাড়ী ও ভিটা শ্রেনীভূক্ত এবং উক্ত ভূয়া বিবিধ মামলা (বিবিধ ১০১০/২০২১) মামলার আদেশ হেলেন আহমদ এর ব্যবসায়ীক পার্টনার মিছবাহুল ইসলামের নামে ডিপি ১৪৭৫ খতিয়ানে ডিপি ১৪৯৯ ও ১৫৭৮ খতিয়ান থেকে ভূমি রেকর্ড হয়েছে। এস এ ১১নং খতিয়ানের ৩০৫০ দাগের সাকুল্য ভূমি বর্তমানে মাঠ জরিপে টিলা শ্রেনীতে রেকর্ড হয়েছে। হেলেন আহমদ সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের ১৯৮৮-৮৯ সনের ৩৮১ নং ভূয়া নামজারী বলে ৭০৯ নং খতিয়ান দাখিল করে বর্তমান রেকর্ড সংশোধনের জন্য জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবরে দাখিল করেন।’

অথচ সংবাদে উল্লেখিত তথ্যগুলো মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও কাল্পনিক উল্লেখ করে হেলেন আহমদ বলেন, ‘আমার শত্রু পক্ষের লোক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কওে আমাকে এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী মিসেস সেলিনা মোমেন ও আমার আইন উপদেষ্টা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টেও আইনজীবী এম মিসবা উল ইসলামকে দেশে বিদেশে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানী ঘটানো হয়েছে।