তিন মাস বন্ধ থাকার পর ফের ভোলাগঞ্জ দিয়ে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানি শুরু

তিন মাস বন্ধ থাকার পর ফের ভোলাগঞ্জ দিয়ে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানি শুরু

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
তিন মাস বন্ধ থাকার পর ভোলাগঞ্জ ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে পুনরায় ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে এই আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।  এতে ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ভোলাগঞ্জ ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি  মেনে দীর্ঘ তিন মাস পাঁচদিন পর ভোলাগঞ্জ ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে আবারো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চুনাপাথর বহনকারী ৩০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় কাস্টম্‌স কর্তৃপক্ষ ও বিজিবি সার্বিক বিষয় তদারকি করেন। মেডিকেল টিমের সদস্যরা আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী স্প্রে ও চালকদের সুরক্ষা সামগ্রী পরীক্ষা করেন। চালকদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সার্টিফিকেট প্রদর্শনসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাথরবাহী যানবাহন প্রবেশে অনুমতি দেয়া হয়। 

আবদুর রউফ আরও জানান, মূলত ভারত পুনরায় পাথর রফতানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। সে দেশের রফতানিকারকরা পাথর রফতানি করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চিঠি দেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে কাস্টমসের সঙ্গে কথা বলে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।

জানা গেছে, ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রতিবছর ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর ও চুনাপাথর আমদানি করা হয়। ভারতে খনি থেকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ও মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর ও চুনাপাথর উত্তোলন করা হয়। ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে  ৪শ'-৫শ' ট্রাক চুনা পাথর আমদানি হয়ে থাকে।

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ মে থেকে ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশে পাথর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

এতে বিপাকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের টাকা আটকা পড়ে ভারতে। বেকার হয়ে পড়েন কয়েক হাজার শ্রমিক। স্থবির হয়ে পড়ে স্টেশনটি।

সূত্র জানায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানি পুনরায় শুরু করতে গত সোমবার ভারতের মাঝাই এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও নিউ মাঝাই লোক্যাল এক্সপোর্টার্স ফোরামের মধ্যেও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকে পাথর রফতানি পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।

ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপে সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আমদানি-রপ্তানি  কার্যক্রম তিন মাস বন্ধ ছিল। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায়বৃহস্পতিবার থেকে পাথর আমদানি শুরু হচ্ছে। তাতে ঝিমিয়ে পড়া এ স্টেশনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ভারতীয় ট্রাক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে আমাদের লোকজন ট্রাক রিসিভ করেছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের গাড়ি থেকে ও নামেনি।  সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলাগঞ্জে মাইকিং করা হয় বলে জানান তিনি।