দমন-পীড়ন করে বিএনপিকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি ফখরুলের

দমন-পীড়ন করে বিএনপিকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি ফখরুলের

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
দমন-পীড়ন করে বিএনপিকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সোমবার থেকে আমাদের আবার নতুন করে গ্রাম পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের প্রতিবাদে এই আন্দোলন। মানুষ এখন রাস্তায় বেরিয়ে আসছে।

মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলাতে কিন্তু বড় বড় মিছিল হয়েছে। এর মধ্যেও তারা কেউ থেমে নেই। গতকাল লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে আক্রমণ করেছে, বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের ঘর থেকে ধরে এনে মারধর করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এতো নির্যাতন, এতো নিপীড়ন, এতো হত্যা, এতো গুম-খুনের পরেও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো আবার ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে- এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তাদের রাগের কারণ, ভয়ের কারণ।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বাইরে চিকিৎসা করতে দিতে চায় না। বিরোধিতা করে। কেন? যদি তিনি বেরিয়ে আসেন তাহলে তারা সামাল দিতে পারবে না। 

মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নয়ন নিয়ে এরা বড়াই করছে। দেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে দিয়েছে, মালয়েশিয়া বানিয়ে দিয়েছে। মানুষের পার ক্যাপিটাল ইনকাম নাকি ২৮০০ টাকা হয়ে গেছে। আর এদিকে চা শ্রমিকেরা ১২০ টাকা প্রতিদিন পায়। তারা আন্দোলন করছে, সংগ্রাম করছে। শতকরা ৪২ জন মানুষের জীবন দারিদ্য সীমার নিচে চলে গেছে, দুই বেলা খেতে পায় না। কিছুক্ষণ আগে মোবাইলে দেখলাম একজন চা শ্রমিকের নেতা বক্তৃতায় তাদের খাবারের হিসাব দিচ্ছেন। সকালে একটা রুটি চা দিয়ে ডুবিয়ে, দুপুরে রুটি এবং রাত্রে একটু ভাত আর ডাল অথবা একটু সবজি। এখনো এই ৫০ বছর স্বাধীনতার পরেও আমাদের দেশে শ্রমিকদের এই অবস্থা।

জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সদস্য যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে এবং হেল্পসেলের সদস্য মামুন খান, ফয়সাল আহমেদ ও নাসির উদ্দিন শাওনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পারভেজ রেজা কাকন, হেল্প সেলের সুমন আহসান, ওবায়দুর রহমান, কাজী এমদাদুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম রাসেল, এমদাদুল হক লিমন বক্তব্য রাখেন।