দোয়ারাবাজারে পুলিশ সদস্যের  বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে পুলিশ সদস্যের  বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : দোয়ারাবাজারে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য খুর্শেদ আলম উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রামশাইরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র। করোনাকালীন সময়ে আংশিক বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আমার পুত্র মমিনুল হক শাওনকে প্রলোভন দেখিয়ে সবজি ব্যবসায় জড়িত করেন তিনি। পরবর্তীতে লেনদেন নিয়ে ব্যবসায় জটিলতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতি কর্তৃপক্ষ খুর্শেদ আলমের কাছে জমাকৃত শাওনের সই করা ব্যাংকের একটি ব্ল্যাংক চেকের পাতা ফেরত না দিয়েই উভয়ের হিসাব-নিকাশ নিষ্পত্তি করে দেন। চাকরির ব্যস্ততা দেখিয়ে চেকটি আজও ফেরত দেননি পুলিশ সদস্য খুর্শেদ আলম।

এরই জেরে গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় বাংলাবাজারে খুর্শেদ আলম কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিসহ হঠাৎ আমার দিকে তেড়ে এসে টানাহেঁচড়া করে আমাকে আটকে রাখেন। এসময় খুর্শেদ আলম আমার ছেলে শাওনের কাছে ৫০ লাখ টাকা পাবেন বলে আমাকে মারধর করতে উদ্যত হন। দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকে মারধরসহ আমার ছেলেকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন তিনি। প্রায় ঘণ্টা খানেক আটকে রাখার পর স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’

তিনি বলেন,  ‘আমি একজন নিরীহ মানুষ, এখানে আমার আত্মীয়স্বজন কেউ নেই। খুর্শেদ আলম পুলিশি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে আমার বসতবাড়ি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে আসছে। পরিবারের লোকজনসহ আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ন্যায়বিচার পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য খুর্শেদ আলম অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয় বলে জানান। দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেন, এব্যাপারে শিক্ষকের স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে থানায় এসে বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে অভিযোগপত্র ফেরত নেন। এরপর কী হলো আমার জানা নেই।