ধর্ম সবার শান্তির কথা বলে -----ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্ম বিজ্ঞানের ধর্ম, এই ধর্ম দর্শনের ধর্ম। বুদ্ধের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে ত্যাগের মাধ্যমে আত্মাকে আলোকিত করতে হবে। ধর্ম চর্চার মাধ্যমে, নিজেকে আত্মসুদ্ধির মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। তিনি বলেন, ধর্ম নিজের শান্তির কথা বলেনা, ধর্ম সমাজের, দেশের এবং সবার শান্তির কথা বলে। 

শুক্রবার সিলেট নগরীর আখালিয়া নয়াবাজারে সিলেট বৌদ্ধ বিহারে ‘সিলেট বৌদ্ধ সমিতির’ উদ্যোগে দিনব্যাপী দানশ্রেষ্ঠ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সিলেট বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সংঘানন্দ মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বুদ্ধের শিক্ষা শান্তির শিক্ষা, বুদ্ধের শিক্ষা ত্যাগের শিক্ষা। ধর্ম মানেই নীতিকথা, ধর্ম মানেই নৈতিকতা আবার পারলৌকিক শান্তি। তাই আমরা ধর্ম বিশ^াস করি এবং সবাই ধর্ম পালন করি। বুদ্ধের ধর্ম শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম হিংসার ধর্ম নয়, এই ধর্ম অহিংসার ধর্ম। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জের বজ্রযোগীনির অতীশ দীপংকর মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স’র পরিচালক করুণা নন্দ থের, ঢাকার আবাসিক-ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রাজ্ঞ সদ্ধর্মদেশক ধর্ম্মরতœ থের ও ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ থের। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ মহানাম ভিক্ষু এবং  আনন্দশ্রী শ্রামন। 
উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি নিশুতোষ বড়ুয়া, আহবায়কের বক্তব্য রাখেন শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির আহবায়ক পংকজ কুমার বড়–য়া ঝুলন এবং সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়–য়া।
বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা দেবপ্রিয় চাকমা, জ্যোতিমিত্র বড়ুয়া মিটুল, অরুন বিকাশ চাকমা, সুকান্তি বড়ুয়া। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন ডা দেবপ্রিয় চাকমা ও ডাঃ স্বপন বড়–য়া। 
এ সময় উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপদেষ্টা পিপলু বড়ুয়া, আদেশ বড়ুয়া, যুগ্ম আহবায়ক বড়চোখা চাকমা, সদস্যসচিব রাজ বড়–ুয়া, যুগ্ম সদস্য সচিব ইমন বড়–য়া, সুজন বড়ুয়া (বাঁধন), রুবেল বড়ুয়া, সুজন বড়ুয়া (টেন), দিপ্তিমান বড়ুয়া, লিটন বড়ুয়া, এনজয় বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া, তিতাস বড়ুয়া, রবি বড়ুয়া, শিমুল বড়ুয়া, শংকর বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, বিজয় বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, তন্ময় বড়ুয়া ও সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহ সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী চন্দ্র শেখর বড়ুয়া ও চন্দ্রিকা বড়–য়া মন্টি।
দিনব্যপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো সকাল ৭টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন। পরে বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিকখ্ার দান, সমবেত প্রার্থনা, ধর্মদেশনা, মধ্যাহ্ন ভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গলাচরণ, আলোচনা সভা ও কঠিন চীবর দান উৎসর্গের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।-বিজ্ঞপ্তি