নগরীর কাস্টঘর এলাকায় বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা  হামলায় ২ জন আহত

নগরীর কাস্টঘর এলাকায় বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা  হামলায় ২ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ছিনতাইকারীদের হামলায় ২ জন আহত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬ টায় ঘটনাটি ঘটে।এসময় সুমন নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। 
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, সকালে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। একজনকে আটকও করা হয়। পরে বিষয়টি তারা নিষ্পত্তি করেছেন বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কাস্টঘর এলাকা সম্পর্কে পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ওই এলাকায় যাতে কোনো অঘটন না ঘটে-এজন্যে পুলিশ তৎপর আছে। অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান ওসি। 
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রাক চালক মনিরুল ইসলাম মালামাল নিয়ে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার হেলপার সুলাইমানকে দিয়ে মালামাল পরিবহনের টাকা সংগ্রহ করেন। হেলপার সুলাইমান টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টঘরের পেছনের রংমহল টাওয়ারের সামনে পৌঁছামাত্র ৪ ছিনতাইকারী তাকে ঝাপটা দিয়ে পাকড়াও করে। সুলাইমানকে মারধর করে নগদ ৩০ হাজার ৩০ টাকা ও স্যামসং মোবাইল সেটটি তাদের কাছে  নিয়ে নেয়। এসময় দৈনিক সিলেটের ডাক'র সার্কুলেশন ম্যানেজার হোসাইন আহমদ স্বপন হেলপার সুলাইমানের সাহায্যে এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তার উপর চড়াও হয়। ছিনতাইকারীদের হামলায় সুলাইমান ও স্বপন আহত হন। এসময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে সুমন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করেন। তার প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো ছোরা , কয়েকটি মোবাইল সেট ও খেলনা পিস্তল পাওয়া যায়। সুমনকে পরে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। অপর ছিনতাইকারীর কস্টঘরের দিকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা সিলেটের ডাক-এর সার্কুলেশন ম্যানেজার হোসেন আহমদ স্বপন ও প্রেস বিভাগের কর্মী রুবেল আহমদকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। 
জানা গেছে, কাস্টঘরের পার্শ্ববর্তী কারা কর্তৃপক্ষের পরিত্যাক্ত ঘরসমূহে রাতের আঁধারে ছিনতাইকারীদের আনাগোনা দেখা যায়। ভোরবেলা এখানে একদল ছিনতাইকারী এবং রাস্তার অপর পার্শ্বে আরেকদল ছিনতাইকারী ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ বুঝেই রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনকে পাকড়াও করে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীরা নিয়মিত আনাগোনা করার ফলে স্থানীয় লোকজনকে ভয়ে তটস্থ থাকতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।