নগরীর বাগবাড়ীতে বাসায় চুরি ৬ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে

নগরীর বাগবাড়ীতে বাসায় চুরি ৬ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে

স্টাফ রিপোর্টার : নগরের বাগবাড়ী এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপির বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা বাসার পেছনের গ্রিল ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। 

ঘটনার শিকার এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ এ ঘটনাকে ডাকাতি উল্লেখ করে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় তিনি একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ সিলেটের ডাককে বলেন, ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ গত শনিবার বিকেলে নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় ইফতার করতে তার ভায়রা ভাইর বাসায় যান। ইফতার শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বাসায় এসে গেইট ও দরজা খুলে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করেই দেখতে পান মালামাল তছনছ করা। শয়ন কক্ষে কাপড়চোপড় এলোমেলো অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। এ সময় দেখতে পান বিছানায় রক্ষিত ড্রয়ারে থাকা ও কাপড়ের ভাঁজে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণ নেই। দুর্বৃত্তরা ড্রয়ার ও কাপড়ের ভাঁজ থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি স্মার্ট ফোন, ৫ হাজার ৩০০ টাকার প্রাইজবন্ডসহ সর্বমোট ৬ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় সৈয়দ শামীম আহমদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে গতকাল সোমবার কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
তিনি জানান, এভাবে ২০০৭ সালের ২৩ মে ওয়ান ইলেভেন চলাকালে একদল ডাকাত তার বাসায় প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাসার সকলকে জিম্মি করে ফেলে। ওই রাতে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ৪ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সৈয়দ শামীম সে সময় কারাগারে থাকায় তার স্ত্রী  সৈয়দা শামীম আরা জেসী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় পরিবারটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।