নবীগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ॥ অবশেষে বিয়ে

নবীগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ॥ অবশেষে বিয়ে

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: নবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। অবশেষে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় তাদের বিয়ে হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের শ্যামলী এলাকায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহরে সুমন ও রুবির বিয়ে হয়।

জানা যায়, শ্যামলী এলাকার সুমন মিয়ার (২৫) সাথে একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী ছদ্মনাম রুবি বেগম (২২) এর সাথে বিগত দু’বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে রুবি বেগম সুমনকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সুমন এড়িয়ে চলে। অপর দিকে, সুমন বিয়ের জন্য অন্যত্র মেয়ে খুঁজতে থাকে। গত ১৪ জুলাই অন্য জায়গায় সুমনের বিয়ের দিন ধার্য হয়। খবর পেয়ে বিয়ের আগের রাতে প্রেমিকা রুবি বেগম সুমনের বাড়িতে চলে আসেন এবং বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনি জানান, বিয়ে না করা পর্যন্ত এ বাড়ী ছেড়ে যাবেননা। 

খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ সুমনের বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সুমন পালিয়ে যান। সকলের উপস্থিতিতে রুবি জানান, সুমনের সাথে তার দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক এবং তিনি দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা। অতএব বিয়ে না করা ছাড়া তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও লড়বেননা। পরে প্রশাসন এবং গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উভয়ের অভিভাবককে নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে ন্যায় বিচার করার আশ্বস্থ করলে রুবি বেগম বাড়ি ফিরে যান। এদিকে, এ ঘটনায় সুমনের অন্যত্র বিয়েও ভেঙে যায়। 

পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে সুমন মিয়ার বাড়িতে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উভয়ের অভিভাবকসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর সুমন ও রুবির প্রেমের সম্পর্ক এবং গর্ভের সন্তান প্রমাণিত হয়। পরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর সাব্যস্থ করে সুমন-রুবির বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।