নবীগঞ্জের ধর্ষন মামলার আসামী মানবপাচারকারী সোহেল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার 

নবীগঞ্জের ধর্ষন মামলার আসামী মানবপাচারকারী সোহেল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার 

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা :

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়ে প্রেমিক নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প র‌্যাব-৯ সিলেট। 

জানাযায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া গত ৩ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুক ও টিকটকের মাধ্যমের পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের রুকশিপাড়া এলাকার এক জনৈক প্রেমিকা তুরুণী (২২) এর সাথে। ফেইসবুক পরিচয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তাদের একে অপরদের প্রতি ভালবাসার সম্পর্ক হয়।

 প্রেমিক যুবক ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি শহরে নিয়ে যায় তরুণীকে। সেখানে নিয়ে  তরুণীকে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে। পরে একে অপরকে তারা বিয়েও করেন। এরপর আবারও সোহেলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গত ১২ মে সে ও তার সহযোগিরা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন দিয়ে পাশ্বর্বর্তী দেশে ওই তরুণীকে পাচার করে দেয়।! গত ১৫ মে ওই তরুণী কৌশলে দেশে ফিরে আসে। 

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রাম থানায় ৯(১)/৩০, ২০০০ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) তৎসহ ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬(২) ৭/১০/১১ ধারায় গত ২১ মে রাতে সোহেলকে প্রধান করে ৫ জনের বিরুদ্ধে  একটি মামলা করেন ঐ তরুণী। 

 মামলার প্রেক্ষিতে পাচারকারী সোহেলকে গ্রেফতারে মাঠে নামে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯ সিলেট এর একটি আভিযানিক দল। 
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব প্রধান আসামী সোহেলকে মৌলভীবাজার জেলার সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

 সিলেট র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি আফসান-আল-আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।