নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের আরও দুই উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ

নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের আরও দুই উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য সদর দপ্তর বান্দরবান রিজন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার মূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় আলীকদম ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে গত ২৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লুৎফর রহমান (উপ সচিব) এর স্বাক্ষরিত এক গণবীজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বান্দরবানের ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা,রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এ দিকে বান্দরবানের তিনশ টুরিস্ট গাড়ীর শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছে। চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবান হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। করোনা কালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আগেই আবার লুকসানের মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। গত ১৮ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নতুন করে রোববার থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে জেলা শহরের পর্যটন ব্যবসায়ও। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে গোটা বান্দরবান।

এ ব্যাপারে বান্দরবানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লুৎফর রহমান (উপ-সচিব) বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলার গহীন অরণ্যে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে আরও দুইটি উপজেলা আলীকদম ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে পর্যটকদের নিরাপত্তায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত এ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়।