পার্টিগেট কেলেঙ্কারি: এখনো তদন্ত চলছে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে

পার্টিগেট কেলেঙ্কারি: এখনো তদন্ত চলছে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের রাজনীতিবিদ বরিস জনসন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। গত ৫ সেপ্টেম্বর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) এর সামনে তিনি বিদায়ী ভাষণ দেন। সেখানে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নসহ নিজের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। এরপরই চলে যান আলোচনার বাইরে। কেউ হয়তো তখন চিন্তার মধ্যেই আনেননি আবারও এভাবে আলোচনায় ফিরবেন বরিস জনসন। এখনো ঘোষণা না দিলেও ধারণা করা হচ্ছে ফের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন বরিস।

আগামীকাল সোমবারের মধ্যে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে হবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশীদের। এখন পর্যন্ত মাত্র একজন এই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন, তিনি পেনি মরড্যান্ট। কিন্তু যে দুইজনকে নিয়ে বেশি আলোচনা তারাই এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তারা হলেন বরিস ও ঋষি সুনাক। বরিসের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ঋষি। গুঞ্জন আছে, লিজ ট্রাসকে জিতিয়ে দিতে কলকাঠি নেড়েছেন বরিস। অন্য নেতাদেরও বলেছেন, তারা যাতে ঋষিকে সমর্থন না দেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারেননি ক্ষমতায়।

বিবিসি জানিয়েছে, যে পার্টিগেট কেলেঙ্কারি (করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজনের ঘটনা) বরিসকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে তার তদন্ত এখনো চলছে। নভেম্বরে পাবলিক সেশনে প্রমাণ সংগ্রহ শুরু হবে। করোনা বিধি লঙ্ঘন করায় বরিস জনসনকে পুলিশ জরিমানাও করেছে। সংসদ অবমাননা করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি হাউজ অব কমন্স থেকে বরখাস্ত হতে পারেন এমনকি তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হতে পারে। 
নানা বিবেচনায় ঋষির প্রতিই তাই কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা বেশি ঝুঁকছেন। এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভ দলের ১২৮ জন এমপি (প্রার্থী হতে প্রয়োজন ১০০ এমপির সমর্থন) ঋষিকে সমর্থন দিয়েছেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী ও বরিসের মিত্র স্টিভ বেকারও ঋষিকেই সমর্থন দিচ্ছেন। স্টিভের মতে, ‌‘বরিসের বিরুদ্ধে হাউজ অব কমন্সের কমিটির তদন্ত চলছে। তিনি ফের ক্ষমতায় এলেও অঘটন ঘটতেই থাকবে’।