প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন: অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন

প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন: অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের এলাকা ব্যাপকভাবে  প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় জানমালের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখনো বন্যাকবলিত অত্র অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু প্রলয়ঙ্কারী বন্যা থেকে মানুষকে বাঁচাতে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশে ইতোমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীকে বন্যার্তদের উদ্ধার ও সহযোগীতার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বন্যার সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী  বরাদ্দ দিয়েছেন। তাছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি  বিদেশে অবস্থান করলেও  বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়েছেন। বন্যার্তদের পাশে থাকার জন্য  সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বলেছেন। মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য সরকার, প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সবসময় যোগাযোগ করছেন। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো গণমানুষের দল। সেজন্য সকল নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে যাতে তারা অভুক্ত না থাকে। তিনি বলেন,নগরী  বন্যাকবলিত হওয়ার পরেই আমি জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছি।

রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে রায়নগর হোসেন লজে  পারিবারিক উদ্যোগে তাঁর নিজ বাসার তিন তলায় আশ্রিত বন্যার্ত মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করতে গিয়ে মিডিয়ার সম্মুখে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত মে মাসেও সিলেট বন্যাকবলিত হয়। বন্যায় নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ টানা ১১ দিন বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতার জন্য সকাল, দুপুর ও রাত পর্যন্ত কাজ করেছেন। এই প্রলয়ঙ্কারী বন্যায়ও নেতৃবৃন্দ বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে আছেন। গত দুই দিন ধরে যোগাযোগ বিছিন্ন ছিল। তারপরেও নেতৃবৃন্দ যে যেভাবে পারেন সেই ভাবে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওরস্যালাইন, রান্না করা খিচুড়ি, মোমবাতি সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বৃষ্টিতে ভিজে পানি ভেঙে অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, আমার নিজের বাসার তিন তলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। যাতে আশেপাশের বন্যাকবলিত মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারেন। আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পরে প্রায় ২০০-২৫০ জন মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

শুধু আমার বাসাই নয় মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দের বাসায় বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। মসজিদ, স্কুল সহ অন্যান্য জায়গায়ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য মনে প্রাণে চেষ্টা করছেন। দলীয় কাউন্সিলরবৃন্দও অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।  তাছাড়া আমি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বের হতে পারিনি। গত কয়েক দিন ধরে জ্বর ও ডায়রিয়ায় ভুগেছি। তবে নেতৃবৃন্দের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আজ থেকে আবার সশরীরে বের হচ্ছি। পারিবারিক উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ শেষ করেই বন্যাকবলিত বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাবো এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো। তিনি বিত্তবানদের অতীতের মত বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। আজকের মহৎ এই কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইকবাল, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও আয়েশা ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা থেকে মহান আল্লাহতালার রহমতে  আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুমিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন মেহবুব, ব্যবসায়ী নেতা ইফতার হোসেন হুরেরা ,সিলেট গ্রামার স্কুলের শিক্ষিকা কানিজ হাজেরা সেলিনা, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মিরাজ, শাওন হাজারি, রাহুল দে, নসু ভৌমিক প্রমুখ।