প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেলেন তামিম

প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেলেন তামিম

সবাইকে অবাক করে বৃহস্পতিবার আচমকা সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা এই ওপেনারের এমন সিদ্ধান্ত কারোরই প্রত্যাশিত ছিল না। ফিটনেস থাকাবস্থায় তামিমের খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না ক্রীড়ামোদিরা। এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। 

তামিম ইকবালকে সিদ্ধান্ত বদলানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না। তামিমকে ফোনে পাচ্ছেন না। বোর্ডকে কোনো কিছু না জানিয়েই তামিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এমতাবস্থায় তামিমকে আটকানোর শেষ ভরসা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত তামিমকে ডেকেছেন সরকার প্রধান। সম্ভবত সিদ্ধান্ত বদলাতে যাচ্ছেন এই ড্যাশিং ওপেনার।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই চট্টগ্রামের বাসা ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন তামিম ইকবাল। ১৮ জুলাই পারিবারিক সফরে যাবেন দুবাই। তার আগে আজ বা আগামীকাল যে কোনো সময় তিনি দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তামিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তাকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন তামিম। কোচ হাথুরুর  সঙ্গেও কিছুটা দূরত্ব চলছিল। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ফিটনেস নিয়ে পাপনের বক্তব্যে অপমানিত বোধ করেছেন তামিম। 

এ কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তামিম নিজেও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, বোর্ড সভাপতির বক্তব্যে তার মনে হয়েছে দলে হয়তো এখন আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রয়োজন নেই।

বোর্ডও বুঝতে পেরেছে, অভিমান থেকেই ওয়ানডে অধিনায়ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তো তামিমকে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে বোর্ড। কাল রাতে ঢাকায় বোর্ড পরিচালকদের এক জরুরি সভার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সকাল (কাল) থেকে ওকে চেষ্টা করেছি, পাচ্ছি না। ভাই নাফিস ইকবালের মাধ্যমে যোগাযোগ করেই তাকে পাইনি। আমার সঙ্গে এখন অবধি যোগাযোগ হয়নি। আমি নাফিসের কাছে একটা মেসেজ পাঠাই, ওর সংবাদ সম্মেলনের পর। আমি বলেছি আমি চাই তামিম অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজ শেষ করুক। এরপর আমরা বসে ঠিক করব কী করা যায়। তার মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের এমন করা ঠিক হচ্ছে না। তার দলে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এরপর থেকেই বিসিবি অপেক্ষা করছে তামিমের সাড়া পাওয়ার। কিন্তু তামিম এখন পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। এর মধ্যেই তাকে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থে তামিমকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বলবেন। সেক্ষেত্রে তামিম সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন-এমন অনুমান করছেন তার ভক্তরা।