পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি সুনাকই, বলছে জরিপ

পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি সুনাকই, বলছে জরিপ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
ঋষি সুনাকই হতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাবেক চ্যান্সেলরের প্রচারণা কমিটির দাবি, তাঁর পক্ষে রয়েছে ১৪০ এমপির সমর্থক। তেমন হলে ঋষিই হবেন যুক্তরাজ্যের সর্বপ্রথম ‘নন হোয়াইট’ এবং ভারতীয় বংশদ্ভুত প্রধানমন্ত্রী। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

মূলত, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসনের নাম প্রত্যাহারের কারণেই পথ পরিষ্কার হয়েছে সুনাকের। সোমবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীতা চূড়ান্তের শেষ সময়। এর মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের পক্ষে পর্যাপ্ত সমর্থন দেখাতে না পারলে এককভাবে বিজয়ী ঘোষিত হবেন ঋষি সুনাক। দলীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে লিজ ট্রাসের কাছে পরাজিত হন ৪২ বছরের এই রাজনীতিক। তবে ট্রাসের পরই দ্বিতীয় সবোর্চ্চ সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। ট্রাসের দেখানো কর ছাটাইয়ের পরিকল্পনা যে বাস্তবে সম্ভব নয় সেটি প্রথম থেকেই বলে আসছেন ঋষি। শেষমেষ তার কথাই সত্যি প্রমাণিত হওয়ায় ব্রিটেনের সাধারণ জনগণও অনেকটা ঋষির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে, পরিস্থিতি বুঝে রোববার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক বিবৃতিতে জানান- তার পক্ষে যথেষ্ট আইনপ্রণেতার সমর্থন ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে শোন গিয়েছিলো দলকে বাঁচাতে নির্বাচনী লড়াই থেকে ঋষিকে সরে যাওয়ার আহ্বান করেছিলেন বরিস। বলেছিলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে দল তার নেতৃত্বেই জয় লাভ করতে পারবে। তাই ঋষি যেনো সরে গিয়ে বরিসকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুযোগ দেন। তবে রোববার নিজেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গেলেন বরিস, একই সাথে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন ঋষি।

রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ঋষি সুনাকের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন, বরিস জনসনকে সমর্থন করেছেন ৩০ শতাংশ এবং পেনি মরডন্টের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পুনর্নিবাচনে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বরিস। কিন্তু বরিস সরে যাওয়ায় এবার ঋষিকেই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে ব্রিটেন।