পুলিশ-বিএনপি-আ.লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত

পুলিশ-বিএনপি-আ.লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত

রয়েল ভিউ ডেস্ক : ফেনীতে পদযাত্রায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, বিএনপির নেতাকর্মী ও ১০ সাংবাদিকসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে ফেনী শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোডের দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। ইসলামপুর রোড় ও জিরোপয়েন্টে পৌঁছলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজনৈতিক পক্ষের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সংবাদ সংগ্রহের সময় মোহনা টিভির প্রতিনিধি তোফায়েল আহম্মদ নিলন, আকাশ, তানজিলা, মুস্তাফিজসহ ১০ সংবাদকর্মী আহত হন।

পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ফেনী যমুনা ব্যাংক শাখা, সাউথ ইস্ট ব্যাংক শাখাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পুলিশ নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল যুগান্তরকে বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে ওঠে। সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে শহরে আমাদের দলের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তার অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা শহরের জিরোপয়েন্টে সমবেত হলে বিএনপি তাদের ওপর বোমা হামলা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাদের ইট ও বোমার আঘাতে আমাদের প্রায় ২০ নেতাকর্মী ও পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদ যুগান্তরকে বলেন, এ হাঙ্গামার জন্য বিএনপি দায়ী। তাদের উস্কানিতে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।