পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটে রোপা আমন ও আউশ-ইরি ফসলের ক্ষতির আশংকা

পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটে রোপা আমন ও আউশ-ইরি ফসলের ক্ষতির আশংকা

রয়েল ভিউ ড্স্কে :
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে সারী ও পিয়াইন নদী দিয়ে নেমে আসা ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  অনেক জায়গায় রাস্তাঘাটে পানি উঠে জনসাধারনের যাতায়াত ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় গত ৫ দিনেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।     

সরজমিন ঘুরে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পুর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং  চা-বাগান, আসামপাড়া হাওর বাউরভাগ হাওর,  সাঙ্কিভাঙ্গা হাওর, ৫নং পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের কাকুনাখাই হাওর, খাষ হাওর, সোনাপুর হাওর, দাড়াইল হাওর, লাতু হাওর, জুগিরকান্দি হাওর, পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা, তীতকুল্রি ও বুধিগাঁও হাওর, সাতাইন হাওর, পুকাশ হাওর, সহ ডৌবাবড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও রস্তমপুর ইউনিয়নের একাধিক হাওর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সদ্য রোপা আমন এবং পাকা আউশ ও ইরি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হতে পারে। তাছাড়া অনেক ফিসারী পানিতে তলিয়ে গেছে।

জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ জানান, জাফলংয়ের পিয়াইন নদী পাহাড়ি ঢলের পানিতে থৈ থৈ করছে। পাহাড় থেকে অবিরাম পানি নামছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। পিয়াইন নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোত বেশি হওয়ায় উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নে পানি বাড়ার পরিমাণ বেশি। সারিঘাট ও গোয়াইনঘাটের ইটের ভাটার সামনের কিছু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও উপজেলার পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, রুস্তমপুর, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।  

তিনি জানান, বন্যার পানিতে ৪৫ হেক্টর আউশ, ৮২০ হেক্টর আমন, ৩০ হেক্টর আমন বীজতলা ও ২ হেক্টর সবজি নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হলে এবং বন্যার পানি ৩-৪ দিনের মধ্যে কমে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না বলে তার আশা।