পাঠানটুলায় সিএনজি পাম্পে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

পাঠানটুলায় সিএনজি পাম্পে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মতি মিয়া (৬০) নামের বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি নগরীর ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

গত ২১ জানুয়ারি পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করাচ্ছিলো সিলেট সিটি করপোরেশন। আর.এন ইয়াকুব কন্সট্রাকশনের মাধ্যমে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। ওইদিন বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় গ্র্যান্ডার মেশিন থেকে বের হওয়া ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে লরির পেছনের চাকাসহ পাইপে আগুন লেগে যায়। এ সময় লরির পাশে থাকা ড্রেনের কাজ করা ৫ শ্রমিক ও ফিলিং স্টেশনের এক কর্মচারী দগ্ধ হন। আশপাশের মানুষের মধ্যে এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। একপর্যায়ে তেলবাহী লরির চালক গাড়িটি চালিয়ে পাম্পের বাইরে নিয়ে যান। এসময় স্থানীয় ও আশপাশের মানুষ এগিয়ে গিয়ে পানি, বালু ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

অগ্নিদগ্ধরা ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০), রজনী চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।

এদের মধ্যে মনতাজ মিয়া ও মতি মিয়ার (৬০) অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মতি মিয়া মারা যান। 

এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের মিরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সে সময় পাম্পের ৯ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তিতে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জন মারা যান।