ফরিদপুরে ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত

ফরিদপুরে ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
ফরিদপুরে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন। 

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ফরিদপুর শহরে অবস্থিত কমলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত নির্বাচনী পরীক্ষায় ৩৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র একজন সব বিষয়ে পাশ করে। বাকি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আহমেদ ২১ জনকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অনুমতি দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন-চার-পাঁচ-ছয় বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীও রয়েছে; কিন্তু বাকি ১৫ জনের মধ্যে তিন থেকে চার বিষয়ে অকৃতকার্য থাকা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা কথা বলতে গেলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ব্যাপারে গত ১৮ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও গত ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে ওই ১৫ জনকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন জানালেও এ সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।

অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়েছে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও শুধু তাদেরই ফরম পূরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনিয়ম করে আমাদের ১৫ শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করতে অনুমতি দিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি পর্যন্ত করছেন। অথচ কোমলমতি ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে অমানবিকভাবে তাদের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কথা তুলে ধরেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে।

এ বিষয়ে বারবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন না ধরায় অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলা সম্ভব হয়নি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আহমেদের সঙ্গে। তবে কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাইফুল আহাদ সেলিমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এ সমস্যার কথা আমি শুনেছি। আমাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ফোন করা হয়েছে। আমি তাদের ও প্রধান শিক্ষককে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সহানুভূতিশীলতার সঙ্গে সমাধান করতে পরামর্শ দিয়েছি। এ সমস্যা তো ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা।