বাইডেনের আশ্বাসের পরেও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারে ধস

বাইডেনের আশ্বাসের পরেও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারে ধস

রয়েল ভিউ ডেস্ক: 
মার্কিন যক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দু’টি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন ঘটেছে। তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হওয়া ব্যাংক দুটি হলো সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার। ব্যাংক বন্ধের এ ঘটনায় দেশটির নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গ্রাহকদের এই আতঙ্ক-শঙ্কা দূর করতে সোমবার এক বক্তব্যে বলেছেন, ব্যাংকে গচ্ছিত গ্রাহকদের অর্থ পুরোপুরি নিরাপদ। বাইডেনের এ বক্তব্যের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর শেয়ারে দরপতন হয়েছে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মনে ভয় ঢুকেছে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও হয়ত বর্তমান সংকটে ধাক্কা খাবে। আর এ শঙ্কায় ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন হয়েছে। এরই মধ্যে স্পেনের সানতানদার এবং জার্মানির কমার্জব্যাংকের শেয়ার একটা সময় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

ইউরোপের ব্যাংকগুলোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, এ ধাক্কা সামাল দেয়ার মত যথেষ্ট তারল্য বাজারে আছে।

এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করতে পারে বলে একটি ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির ওই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।

গত শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন হওয়ার পর প্রায় সব গ্রাহকের অর্থ আটকে যায়। এ ব্যাংকটির সঙ্গে স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন বেশি ছিল, ফলে ব্যাংকে টালমাটাল পরিস্থিতি ও অর্থ আটকে যাওয়ার পর ওই কোম্পানীগুলোর কর্মীদের বেতন আটকে যায়।

এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যাদের আমানত রয়েছে, তারা সবাই সোমবার থেকে তাদের অর্থ তুলতে পারবেন। তাদের পুরো অর্থ যেন নিরাপদ থাকে, সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে।

নিজেদের অর্থ ফেরত নিতে ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অবস্থিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) শাখার সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসি উত্তর আমেরিকা প্রযুক্তি প্রতিবেদক জেমস ক্লেটন।

তিনি জানিয়েছেন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা চেকে করে তাদের অর্থ নিয়ে যাচ্ছেন। চেকে কয়েক মিলিয়ন অর্থ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘অসাধারণ একটি দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন এ সাংবাদিক।

সূত্র: বিবিসি।